কচাকাটা, কুড়িগ্রাম সংবাদতাতা ॥ কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর প্রস্তাবিত কচাকাটা উপজেলায় রেড ক্রিসেন্টের ত্রাণে পকেট ভারী হয়েছে ইউনিয়ন আ’লীগ সম্পাদকের। ত্রাণগ্রহীতাদের কাছে থেকে আ’লীগ সাধারণ সম্পাদককে দিতে হয়েছে নগদ অর্থ। এ নিয়ে সমালোচনা ও খোভ দেখা দিয়েছে খোদ আওয়ামীলীগের ভিতরে।

জানা যায়, গত শুক্রবার কুড়িগ্রামের প্রস্তাবিত কচাকাটা উপজেলায় ১৫নং কচাকাটা ইউনিয়নে বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করে রেডক্রিসেন্টের একটি দল। এসময় ইউনিয়টির ৪’শ হতদরিদ্র বানভাসীদের নিত্য প্রয়োজনিয় দ্রব্যাদির সাথে নগদ ১৪’শ টাকা দেয়া হয়। ত্রাণ বিতরণে রেডক্রিসেন্ট দলকে সহযোগিতা করে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কর্মীরা। ত্রাণ বিতরণের পরদিন থেকে ত্রাণ গ্রহিতাদের কাছ থেকে ৪শ থেকে ৫শ টাকা করে দাবী করেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কচাকাটা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আতাউর রহমান। নিজে এবং প্রতিনিধির মাধ্যমে ত্রাণ গ্রহিতাদের কাছ থেকে টাকা উত্তলোন করেন তিনি। ত্রাণ পাওয়া ব্যাপারিটারী গ্রামের মহেলা বেগম, মরিয়ম বেগম, নূরবানু হাসনা বেগম জানান, যুবলীগের সহ-সভাপতি মমিনুর রহমানসহ আতাউর রহমান জোড় করে আমাদের কাছ থেকে ৫শত করে টাকা নিয়েছেন। জানতে চাইলে মমিনুর রহমান বলেন- আমি তেমন কিছু জানি না, আমাকে শুধু টাকা উঠাতে বলেছেন এবং টাকা আমি সম্পাদক সাহেবকে দিয়েছি। এর বেশী কিছু জানি না।

ইউনিয়নটির ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা মন্ডল খোভ প্রকাশ করে বলেন, ৪’শর অধিক হতদরিদ্্র ত্রান পাওয়া মানুষদের কাছ থেকে প্রায় দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ওই সম্পাদক। বিষয়টি আমরা উপজেলা এবং জেলা কমিটিকে জানিয়েছি। ত্রাণ পাওয়াদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগ তুলে আওয়ামীলীগ কর্মী ও ইউপি সদস্য রহুল আমীন বলেন, আমার এলাকার সবার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন বলে জেনেছি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান জানান, টাকা নেয়ার তথ্য সত্য নয়। আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানিনা। তবে তার টাকা নেয়ার মোবাইল ফোন আলাপের রেকর্ডে তাকে বলতে শোনা যায়, কিছু পাইতে গেলে কিছু দিতে হয় । এবার পাইছেন আগামীতেও পাবেন। কিছু খরচাপাতি তো ছেলেপেলেদের দিতে হয় তাইনা।

কচাকাটা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলী জানান, বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন