রানীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) সংবাদদাতা ঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার আমজুয়ান গ্রামে নারী শিশু নির্যাতন মামলায় এক হিন্দু পরিবার জেল হাজতে রয়েছে। ফলে ক্ষোভে ফেঁটে পড়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন।
মামলার বিবরণে জানাযায়, উপজেলার আমজুয়ান রানীদিঘী গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাচ্চু মিয়া তার স্ত্রী কে বাদী করে শতমেয়ে কে ভিকটিম দেখিয়ে ঠাকুরগাঁও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করে। মামলার বিষয়টি বিবাদী পক্ষ না জানার কারনে থানা পুলিশ গত ৪ অক্টোবর শ্রী শ্যামল, বিনয় চন্দ্র ও দিনেশ চন্দ্র কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। পরদিন বিজ্ঞ বিচারক চতুরী বালা কে জামিনে মুক্তি দেয়। স্থানীয়রা জানায়, রাণী দিঘী পাড়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন শশ্বান ঘাট হিসাবে ব্যাবহার করে আসছিল। হটাৎ করে সেই শশ্বান ঘাটে বাদীনি শুকতারা সহ অনেকেই বাড়িঘর তুলে বসবাস শুরু করে। ফলে দিনেশ সহ অনেকেই শশ্বান ঘাট উদ্ধার করার জন্য ইউএন ও সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করে। এবার প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য সেই হিন্দু সম্প্রদায়ের দিনেশের পরিবার কে দেওয়া হয়েছে মিথ্যা মামলা। এছাড়াও মামলার স্বাক্ষী হয়েছে শুকতারার পরিবারের লোক জন। গত ৮ অক্টোবর এ প্রসঙ্গে দিনেশের স্ত্রী এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমি আর এ খানে বসবাস করবো না। মিথ্যা মামলা দিয়ে একেই তো সবাই জেলে আছে, তার পর ও শুনছি বাদী পক্ষ নাকি আরো ৭ ধারায় আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করবে। মামলা ব্যাপারে বাদীনি শুকতারা বলেন, হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে আমার মেয়েকে বিয়ে করতে হবে, নতুবা ৩ লক্ষ টাকা দিলে বিষয়টি আপোষ মিমাংসা করা হবে।