চট্টগ্রাম বুরোঃ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় থানা পুলিশের সরাসরি হস্তক্ষেপে আদালতের শান্তি শৃংঙ্খলা বজায় রাখায় নির্দেশ উপেক্ষা করে অন্যের সম্পত্তিতে জোর করে ভবন নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয় পুলিশের সহায়তায় দখলদার মহলটি ভূমির মালিককে এলাকা ছাড়া করেছে এবং হত্যা ও গুমের অব্যাহত হুমকি দিয়ে আসছে। এদৎ বিষয়ে গৃহহারা রবীন্দ্র চন্দ্র ধর পুলিশের আইজিপি বরাবর ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ইং আবেদন করলে ও কোন প্রকার পুলিশী সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানা গেছে। সূত্রে জানা গেছে লোহাগাড়া উপজেলা বনিকপাড়া মঙ্গল নগর ৩নং ওয়ার্ডের মৃত রমনী মোহন ধর এর পুত্র রবীন্দ্র চন্দ্র ধর, রুবেল ধর এবং পাভেল ধর থেকে ১২ শতক সম্পত্তি ২০১৭ সালে সাব রেজিষ্ট্রী দানপত্র মুলে ক্রয় করে। কিন্তু এই সম্পত্তিটির উপর রবীন্দ্র ধর এর ভাই বাবুল চন্দ্র ধর ও মিলন চন্দ্র ধর এর নজর পড়ে। তারা রবীন্দ্র চন্দ্র ধরের ক্রয়কৃত সম্পত্তি দখলের জন্য ভূয়া দলিল সৃজন করে। এই ভূয়া দলিলের বরাতে বিএস খতিয়ান করে নেয়। এই খতিয়ানের আলোকে সম্পত্তি দখল করতে আসলে রবীন্দ্র চন্দ্র ধর বাধা দেয়। বাধার প্রেক্ষিতে বাবুল চন্দ্র ও মিলন চন্দ্র ধরের লোকজনরা রবীন্দ্র চন্দ্র ধরের উপর ২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ইং তারিখে হামলা চালিয়ে মারাত্মক আহত করে। এক পর্যায়ে রবীন্দ্র চন্দ্র ধর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। শেষতক নিরুপায় হয়ে রবীন্দ্র চন্দ্র ধর বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালত চট্টগ্রামে ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ইং মামলা দয়ের করে। মামলা নং ২৫৯/১৭, মামলা দয়ের পর আদালত সংশ্লিষ্ট থানাকে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিলে পুলিশ রহস্যজনক কারণে ক্ষতিগ্রস্থের পক্ষে না থেকে হামলাকারীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে। পুলিশের সাথে বাবুল চন্দ্র ও মিলন চন্দ্র সখ্যতাকে কাজে লাগিয়ে রবীন্দ্র ধরের সম্পত্তি দখলের পায়তারা করে। এক পর্যায়ে রবীন্দ্র চন্দ্র ধরের সম্পত্তিতে বাবুল চন্দ্র ও মিলন চন্দ্র ভবন নির্মানের চেষ্টা করে। নিজ সম্পত্তিতে জোর পূর্বক ভবন নির্মান বন্ধে রবীন্দ্র চন্দ্র অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্টেট আদালতে মামলা দায়ের করে, মামলা নং-১১২২/২০১৭ইং এই মামলার প্রেক্ষিতে আদালত লোহাগাড়া থানার ওসিকে নালিশে জমিতে উভয় পক্ষের মধ্যে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করলে ও পুলিশ রবীন্দ্র ধরকে কোন প্রকার সহায়তা করে নাই। পুলিশ বাবুল ও মিলন চন্দ্র ধরের পক্ষ নিয়ে রবীন্দ্র ধরকে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করলে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রভাত কর্মকার এবং ভারপ্রাপ্ত কমকর্তার যোগ সাজসে বাবুল ধর ও মিলন ধর রবীন্দ্র চন্দ্র ধরের, জায়গায় ভবন নির্মান শুরু করে। বর্তমানে এই ভবনটির ছাদ নির্মানের পায়তারা চলছে। অসহায় রবীন্দ্র চন্দ্র ধর তার সম্পত্তি রক্ষায় সমাজের সর্বত্রই ধর্না দিলে ও লোহাগাড়া পুলিশের ভয়ে কেউ রবীন্দ্র ধরকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসছে না। জানা গেছে বাবুল ও মিলন চন্দ্র ধর প্রভাবশালী এবং বিত্তশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস পায়না। রবীন্দ্র চন্দ্র ধর তার খরিদকৃত সম্পত্তি রক্ষায় সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *