ঢাকা সংবাদদাতাঃ
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মজলুম জননেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ‘খামোশ’ শব্দটি বড় প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

তিনি বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য; মাওলানা ভাসানী আজ আমাদের মধ্যে নেই। বর্তমানের যে রাজনীতি এবং সামাজিক প্রেক্ষাপট, সেখানে মাওলানা ভাসানীর জীবন, রাজনীতি-সব কিছু থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। ভাসানী সুখী সমৃদ্ধ একটি দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি কৃষক-শ্রমিক ও মেহনতী মানুষের মুক্তি চেয়েছিলেন। আজকের বাংলাদেশে এগুলোর অভাব।

মঙ্গলবার নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ১৩৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, আফ্রো-এশিয়া, ল্যাতিন আমেরিকার অবিসংবাদিত ও আপসহীন মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী শুধু শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা ছিলেন না। তিনি ছিলেন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানবতাবাদী ধর্মীয় নেতা। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ভারত-পাকিস্তানন বিরোধী আর বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে তার আপসহীন রাজনীতি ও ভূমিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় তার রাজনৈতিক দিক-দর্শনই পারে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট দূর করতে।

তিনি বলেন, মওলানা ভাসানী যখন রাজনীতি করতেন সেসময় সমগ্র বিশ্বে হাতেগোনা কয়েকজন রাজনীতিবিদের মধ্যে মওলানা ভাসানী ছিলেন অন্যতম। ভারত উপমাহাদেশে তার সাথে শুধু মহাত্মা গান্ধীর সাথেই তুলনা করা যেতে পারে।

তিনি আরো বলেন, আজ থেকে প্রায় ৫৯ বছর আগে মওলানা ভাসানী সিরিয়ায় গিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের ঐক্যের কথা বলেছিলেন। মওলানা বলেছিলেন, এখনই যদি আপনারা ঐক্যবদ্ধ না হন তাহলে একদিন আপনাদেরকে পস্তাতে হবে। আজ মওলানার কথাই সত্যে পরিণত হয়েছে।

ন্যাপ মহানগর সদস্য সচিব মো. শহীদুননবী ডাবলু’র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন গণতান্ত্রিক ঐক্যের আহŸায়ক মো. রফিকুল ইসলাম, এনডিপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ন্যাপ যুগ্ম মহাসচিব স্বপন কুমার সাহা, এনডিপি যুগ্ম মহাসচিব শামসুল আলম, কল্যাণ পার্টি যুগ্ম মহাসচিব আল আমিন ভুইয়া রিপন, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মো. কামাল ভুইয়া, মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, কেন্দ্রীয় নেতা একলাছুল হক, যুব নেতা আবদুল্লাহ আল কাউছারী প্রমুখ।

বক্তারা মওলানা ভাসানীকে সত্যিকারের দেশপ্রেমিক আর প্রকৃত জাতীয়তাবাদী নেতা উল্লেখ করে ক্ষোভের সাথে বলেন, যে মওলানাকে নিয়ে, যার রাজনীতি, নীতি-আদর্শ নিয়ে দেশে দেশে গবেষণা হচ্ছে, আলোচনা, সভা-সমাবেশ, সেমিনার হচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশে মওলানা ভাসানী উপেক্ষিত। তিনি কখনো ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করেননি। অথচ মওলানা ভাসানীর অনেক কর্মী, অনুসারী অনেকেই ক্ষমতার রাজনীতিতে মত্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *