ঢাকা অফিসঃ
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়িত হয়নি আজও মন্তব্য করে রাষ্ট্রভাষা মতিনের স্ত্রী কমরেড মনিকা মতিন বলেন, সমাজে রয়ে গেছে বৈষম্য-বঞ্চনা, বিরাজ করছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। লাখো শহীদের রক্ত আর দীর্ঘ ৯ মাসের সংগ্রাম— পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙতে একাত্তের মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাঙালি জাতি। মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয়ের পর কাল প্রবাহে কেটে গেছে ৪৭ বছর।
তিনি বলেন, একদনি হঠাৎ করেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে যায় নাই। বাঙ্গালি জাতিকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছেন মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী। আর দেশের মানুষকে তৈরী করেছেন রাজনৈতিক নেতৃত্ব। ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা। যারা এই বাংলাদেশ অর্জনে অংশ নিয়েছেন তাদের সকলকেই স্বীকৃতি দেয়া উচিত।
রবিবার সন্ধ্যায় নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে ২৫ মার্চ কালো অধ্যায় তথা গণহত্যা দিবস স্মরণে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় নেতৃবৃন্দ মোমবাতি প্রজ্জলনের মাধ্যমে ২৫ মার্চ গণহত্যার শিকার ও স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদদের অমর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, হুট করেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয় নাই, মুক্তিযুদ্ধ হুট করে শুরু হয়নি। বাংলার জনগনকে মুক্তির স্বপ্ন দেখিয়ে মুক্তিযুদ্ধের দিকে ধাবিত করেছিলেন মওলানা ভাসানী। ১৯৭১ সালের ৭মার্চের পর ৯মার্চ মওলানা ভাসানী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সমর্থন দিয়েছিলেন। সেই সময় ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে পল্টনে মওলানা ভাসানীর পক্ষে তৎকালীন ন্যাপ সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান যাদু মিয়া পল্টন ময়দানে দলের পক্ষ থেকে স্বাধীনতার দাবী তুলে ধরেন এবং পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে ফেলেন। আজ ইতিহাস থেকে সেই ঘটঠনাও মুছে ফেলা হয়েছে। শুধু আওয়ামী বিরোধী হবার কারণে ইতিহাস থেকে অনেক কিছুই মুছে ফেলার চেষ্টা চলছে। যা কখনোই শুভ লঙ্খন নয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিশেষ ব্যক্তি, গোষ্টি বা দলের একক অবদান দাবী করে প্রকারান্তরে যারা ইতহাসকে বিকৃতি করছে তাদের ইতিহাস ক্ষমা করবে না।
দলের ঢাকা মহানগর সদস্য সচিব মো. শহীদুননবী ডাবলু’র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন লেবার পার্টি মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, ন্যাপ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা আনছার রহমান শিকদার, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা এম. এন. শাওন সাদেকী, ছাত্র মিশন সভাপতি কামরুল ইসলাম সুরুজ প্রমুখ।