ঝালকাঠী প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলায় মেধাবী শিশু শিক্ষার্থী রাখি মনি (১১) এর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। রবিবার (২৯এপ্রিল) সকাল ৯ টায় উপজেলার পশ্চিম চাড়াখালি গ্রামের রাখির নানা নুরুল হক হাওলাদারের বাড়ি পাশে লকোট গাছ থেকে এ লাশটি উদ্ধার কর হয়। রাখিমনি উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের বদনিকাঠি গ্রামের খালেক খানের একমাত্র মেয়ে ও উপজেলার পশ্চিম চাড়াখালি আজিজিয়া আলিম মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী। সে ঐ মাদ্রাসা থেকে এ বছর টেলেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, রাখিমনির বাবা-মা ঢাকায় চাকুরি করার কারনে রাখিমনি পশ্চিম চাড়াখালি গ্রামের নানা বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করে আসছিল। ১১ বছর বয়সের শিশু রাখিমনির মৃত্যুটি মর্মান্তিক ও রহস্যজনক বলে তার অদিকতর তদন্ত সাপেক্ষে হত্যা রহস্য উম্মোচনের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী। মৃতের মামা নুরুজ্জামান জানায়, রাতে সকলের সাথে একত্রে খাবার খেয়ে রাখি পড়তে বসে বাকিরা ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে তার নানা নুরুল হক দরজা খোলা দেখে প্রথমে চুরি সন্দেহে খোঁজাখোঁজি করতে গিয়ে দেখেন তার নাতনী রাখিমনি ঘরে নেই। স্থানীয় লোকজন তার (রাখিমনি) মৃতদেহ বাড়ির পাশে একটি লকোট গাছের ডালের সাথে তার ওরনা গলায় ফাঁস অবস্থায় ঝুলতে দেখে রাজাপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনা স্থালে গিয়ে ঐ গাছ থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।ঐ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ছাইফুল হক তার ফেইসবুক স্টাটার্সে বলেন, “আমি ওমরা হজ্জে রওয়ানা করে এসে আজ সকালে বিষয়টি ফেসবুকে দেখে খুব কষ্ট পেলাম। কোন মতেই মানতে পারছিনা। আমি বিশ্বাস করিনা ও এটা করেছে। বিষয়টি খুব খুব রহস্যজনক। মেয়েটি অত্যন্ত ভদ্র ছিল, পড়া লেখা ছিল ওর নেশা। কোন প্রকার আড্ডা, গল্প গুজব পছন্দ করতো না। স্কুল থেকে নিজ ইচ্ছায় মাদ্রাসায় ভর্তি হয়, এবং এ বছর ৫ম শ্রেণী সমাপনীতে ট্যালেন্ট পুলে স্কলারশিপ পায়। আমি সুষ্ঠু তদন্ত আশা করছি।” রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ শামসুল আরেফিন জানায়, লাশের সুরাতহাল সম্পন্ন করে লাশ ঝালকাঠি মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুটি মর্মান্তিক তবে পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারন বলা যাচ্ছে না। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।