ভোলাহাট(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সর্বকনিষ্ট ও সর্ববৃহৎ নানা গুণে সমাদ্দৃত উপজেলা ভোলাহাট। আর এ উপজেলা বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ নির্দলীয় নিরপেক্ষ অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান ‘ভোলাহাট আম ফাউন্ডেশন’র সাধারণ নির্বাচন ২০১৮ শনিবার সকাল ৮টা হতে বিরতীহীণ ভাবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া, কড়া নিরাপত্তায় ও সুষ্টু-নিরপেক্ষ শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর পরিবেশে এ ভোট গ্রহণ রামেশ্বর পাইলট মডেল ইন্সটিটিউশনে অনুষ্ঠিত হয়। ৩ বছর মেয়াদে আম ফাউন্ডেশনের নির্বাচনে দু’একটি বাদে আগের কমিটির সদস্যগণই কিছু পদ রদবদল করে পূনরায় নির্বাচিত হয়েছে। সহসভাপতি ২ জনের বিপরীতে লড়ছেন ৮জন, সাধারণ সম্পাদক পদ ১টির বিপরীতে লড়ছেন ৩জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ ২টিতে লড়ছেন ৩জন ও কোষাধ্যক্ষ পদ ১টিতে লড়ছেন ৩জন। এছাড়া এলাকা প্রতিনিধি পদ ১৭টি। এর মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় বিজয়ী হয়েছেন ৫জন। বাঁকী ১২টি পদের জন্য লড়ছেন ২৯জন। সর্বশেষ বেসরকারী ফলাফলে জানা যায়, সহসভাপতি পদে কামাল উদ্দিন ১৮৩৮ ভোট ও ১৭৩৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নুতনমুখ আনসার আলী মেম্বার। সাধারণ সম্পাদক পদে ১৫৩৯ ভোট পেয়ে ফের বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন মোজাম্মেল হক চুটু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ১৯০৯ ভোট পেয়েছেন সদর ইউপি সদস্য আতাউর রহমান ও আগের কমিটির এলাকা প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম মনির ও কোষাধ্যক্ষ পদে ১৭৪০ ভোট পেয়েছেন নুতনমুখ লালদেওয়ান। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠান সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ অবাধ করতে ভোট কেন্দ্রে মোট ১৭টি বুথে ভোটগ্রহণ করা হয়। ভোটগ্রহণ করেন উপজেলার প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ। এ নির্বাচনের সার্বিক দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন। আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের দায়িত্বে ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভুমি) পি.এম. ইমরুল কায়েস। রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে কাজ করেন, উপজেলা নির্বাচন অফিসার আশরাফুল হক। ৩জন প্রিজাইটিং অফিসার উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার কামরুজ্জামান সরদার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রহমান ও বিআরডিবি অফিসার জাহাঙ্গীর আলম। সহকারী প্রিজাইটিং অফিসার ১৭জন ও পোলিং অফিসার ছিলেন ৩৪জন। আইন-শৃংখলার নিরাপত্তা দিতে উপস্থিত ছিলেন অফিসার ইনচার্জ ফাছির উদ্দীন, ওসি (তদন্ত) শামিম রেজাসহ ১৭জন কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্য এবং ১৫জন গ্রাম পুলিশ। এ নির্বাচনে ভোলাহাট আম ফাউন্ডেশনের মোট ৪১৬০জন ভোটার ছিলো।
উল্লেখ্য যে, ভোলাহাট আম ফাউন্ডেশন নামে ২০০১ সালে এ প্রতিষ্ঠানটির সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠা লাভ করে পদাধিকার বলে সেই সময়ের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল মান্নান। পরে ২০০৩ সালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মতিউর রহমানের সময়ে পুর্ণাঙ্গরূপ নিয়ে সে সময়ে মোজাম্মেল হক চুটুকে সাধারণ সম্পাদক করে পথচলা শুরু করে অদ্যাবধি সারাদেশে সুনাম ছড়িয়ে বিশ্বের দরবারে আমের জন্য বিখ্যাত হয়ে রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *