ভূরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম)সংবাদদাতাঃ
জীবনের শুরুতেই দারিদ্রতা আর নানা অসঙ্গতির সঙ্গে নিত্য লড়াই যেন ওদের নিয়তি। তবে নানা প্রতিকুলতার সঙ্গে নিরন্তর সংগ্রাম করেও জীবনে বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখতে হয়। ভাল ফলাফলে দুচোখ ভরা উচ্ছাস থাকলেও উচ্চ শিক্ষার ব্যয় কিভাবে মিটবে সে দুশ্চিন্তা তাড়া করে ফিরছে তাদের। তবে সব প্রতিবন্ধকতাকে মাড়িয়ে বড় হওয়ার চেষ্টা করছে ওরা। সহপাঠি,শিক্ষক আর শুভাকাংখীদের সহমর্মিতা ও পরামর্শ তাদের সাফল্যের পিছনে প্রেরণার বাতিঘর হিসাবে ভুমিকা রাখছে। তেমনি এক হত দরিদ্র পরিবারের মেধাবী ছাত্র কৌশিক আহমেদ রাফি চলতি বছর ভূরুঙ্গামারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়েছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের দেওয়ানের খামার গ্রামের হত দরিদ্র ডাল সবজি বিক্রেতা মোঃ নাজিম উদ্দিন রঞ্জু ও গৃহিনী মোছাঃ রৌফন পারভীন কিরনের পুত্র সে। দুই ভাইয়ের মধ্যে রাফি বড়। তার ছোট ভাই স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে।কৌশিক আহমেদ রাফি ২০১৫ সালে একই বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষাতেও গোল্ডেন জিপিএ ৫ এবং ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিল। এছাড়া পিএসসিতেও জিপিএ ৫ পেয়েছে। বাড়ির ভিটা ছাড়া কোন জমাজমি নেই। সামান্য ক্ষুদ্র ব্যবসায় পরিবারের ৪ সদস্যের ভরনপোষন করতেই তার পিতার হিমশিম খেতে হয়। এদিকে কৌশিক আহমেদ রাফি বড় হয়ে চিকিৎসক হয়ে তার পিতামাতার অভাব ঘোচাবেন বলে জানান। কৌশিক আহমেদ রাফির উচ্চ শিক্ষার ব্যয়ভার কেমন করে বহন করে তাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন এই ভাবনায় তার পিতামাতা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। কৌশিক আহমেদ রাফি তার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে সমাজের বিত্তবানদের সার্বিক সহযোগীতা ও দোয়া কামনা করেছেন।