রবিউল আলম লিটন,ভুরুঙ্গামারী থেকেঃ
ভূরুঙ্গামারীতে ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক এক অসহায় মহিলার বাছুর গাভী বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানাগেছে,উপজেলার জয়মনিরহাট ইউনিয়নের ছোট খাটামারী গ্রামের ময়নাল হকের স্ত্রী মোছাঃ বকুল বেগমকে ফেলে তার স্বামী দীর্ঘদিন থেকে অন্যত্র বসবাস করে আসায় অসহায় বকুল বেগম সন্তান নিয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রিত থেকে স্থানীয় চাতাল কন্যার কাজ করে বাছুরসহ গাভী কিনে তার তাওয়াই আব্দুস সামাদের বাড়িতে লালন পালন করছিলেন। গত ১৫ মে জয়মনিরহাট ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন গ্রাম পুলিশ শাহজাহান ও রফিকুলকে দিয়ে গাভী ও বাছুরটি বকুল বেগমের অনুপস্থিতিতে নিয়ে স্থানীয় ক্লাবঘর নামক স্থানে আনার পর আব্দুল হাই মিলার নামে এক ব্যক্তির নিকট ৫০হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। খবর পেয়ে বকুল বেগম ঘটনাস্থলে গিয়ে চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান,তোমার স্বামীর নিকট বারেক ও সাইফুর টাকা পায় তাই গরু বিক্রি করে তাদের দেনা পরিশোধ করলাম। বকুল বেগম সহ তার আত্মীয়রা জানান,বকুলের স্বামীর সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ কোন যোগাযোগ নাই তাছাড়া উক্ত দুই ব্যক্তির সঙ্গে কোন প্রকার লেনদেন আছে বলে আমাদের জানা নাই। এলাকাবাসীর অনেকে বলেন জালাল চেয়ারম্যান প্রভাব খাটিয়ে অসহায় মহিলার উপর অন্যায়মুলক ভাবে নিলামের মত করে বাছুর সহ গাভীটি বিক্রি করেছে।অসহায় বকুল বেগম ন্যায় বিচার পেতে বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন,ময়নালের নিকট অনেকেই টাকা পায় তাই আমি বকুলের বাছুর সহ গাভীটি বিক্রি করে তাদের দেনা পরিশোধ করেছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ,এইচ,এম মাগফুরুল হাসান আব্ব্সীর নিকট অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান,এরকম ঘটনা ঘটে থাকলে এটা আইন সম্মত নয় এবং নিলামের মত বিক্রি করা চেয়ারম্যানের ক্ষমতা বহির্ভুত। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব এবং আইনগত ব্যবস্থা নেব। উল্লেখ্য ইতিপুর্বেও উক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারী রাস্তার গাছ কাটার অভিযোগ রয়েছে।