ভূরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
ভূরুঙ্গামারীতে রাতের আধারে শিশু ধর্ষনের ঘটনায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়িতে ১ লক্ষ টাকা দফারফা। এলাকায় ব্যাপক তোলপাড়
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের মাদ্রাসা পাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদ প্রামানিকের পুত্র সাদ্দাম হোসেন (২৪) গত ৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকালে একই গ্রামের অটোচালক মাইদুল ইসলামের স্কুল পড়ুয়া আন্ধারীঝাড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণীর এক ছাত্রী(১০) কে বাড়িতে ডেকে নিয়ে মুখে গামছা বেঁধে ধর্ষন করে। ধষিতা ঐ ছাত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে এসে তার আত্মীয় স্বজনকে জানালে তারা থানায় মামলা করতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিলে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও তার স্বামী বিষয়টি সুষ্ঠ বিচারের আশ্বাস দিয়ে গত শুক্রবার রাতে ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে ধর্ষিতার আত্মীয় স্বজনকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা দেয়ার কথা বলে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। ধর্ষিতার পিতা মাইদুল ইসলাম জানান,আমি কাজের জন্য বাইরে থাকায় আমি বাড়িতে ফেরার পুর্বেই এলাকার কিছু সংখ্যক কুচক্রী মহল ন্যায্য বিচার না করেই রাতের আধারে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা পারভীন ও তার স্বামী ডাঃ আব্দুল জলিলের মদদে ধর্ষককে বাঁচাতে এ কাজ করেছে। আন্ধারীঝাড় ইউপি চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ খোকন জানান,মাদ্রাসা পাড়ায় ধষর্ণের বিষয়টি জেনেছি তবে কেহ আমার নিকট বিচারের জন্য আসেনি। এ বিষয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা পারভীনের স্বামী ডাঃ আব্দুল জলিলকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান,ধর্ষিতার পরিবার গরীব হওয়ার কারনে মামলা মোকদ্দমায় হয়রানীর শিকার এড়াতে আপোষ করে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ কবিরের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান,ধর্ষনের ঘটনায় থানায় কেই মামলা করতে আসেনি তবে মামলা হলে ধর্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী জানায় ধর্ষণের ঘটনা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের আপোষ করার কোন বিধান না থাকা সত্বেও একজন ধর্ষিতার আইনগত বিচার না করে ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে বিচার করায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। অনতি বিলম্বে ধর্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবী করেছে এলাকার সুধী মহল।