ভুরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
ভুরুঙ্গামারীতে রাতের আধারে দুটি হতদরিদ্র পরিবারে হামলা করে বাড়িঘর ভাংচুর করে ভিটেমাটি নিশ্চিহ্ন করে ২জনকে জখম করেছে এলাকার চিহ্নিত ভুমিদস্যু চক্র। থানায় মামলা হওয়ার পরেও দিনদুপুরে টিলার দিয়ে হালচাষ করে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে ভিটেমাটির চিহ্ন।
এই নৃশংস হামলার ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৩ জুলাই রাত সাড়ে ১১টায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের খামার পত্র নবীশ গ্রামে। জানাগেছে ওই গ্রামে ওয়ারিশ সুত্রে ময়নাল হক গং ৩একর ৭২ শতক জমি প্রাপ্ত হয়ে ২ বছর পুর্বে তার বড় বোনের স্বামী তছলিম উদ্দিনসহ জমিতে বসত বাড়ি নির্মান করে বসবাস শুরু করলে একই গ্রামের মৃত হামিদ আলীর ছেলে হাকীম, মজিবর রহমান,রোস্তম আলীর পুত্র আব্দুর রউফ,হাকীমের ছেলে ও খামার পত্রনবীশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিয়ন কাম গার্ড রুবেল মিয়াসহ অনেকে তাদের উচ্ছেদ করে জমি দখলের জন্য বিভিন্ন পায়তারা করে আসছিল। জমি দখলে ব্যর্থ হয়ের্ পরিকল্পনামত গত ২৩ জুলাই রাত সাড়ে ১১ টায় লাঠি,সোঠা,দা,কুড়াল,হাসুয়া সহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র সহ সংঘবদ্ধ হয়ে ময়নাল ও তছলিম উদ্দিনের বাড়িতে হামলা করে তাদের বাড়ির লোকজনদের মারপীট করে বের করে দেয়।তাদের মারপীটে ময়নাল হকের ছোট ভাই মন্টু মিয়া(২৮) ও মন্টু মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া বেগম(২৪) আহত হয়। হামলাকারীরা বসত বাড়িতে থাকা চারটি টিনের ঘর,দুটি টিনের ছাপরা ও বাড়ির বেড়ার টিন সহ প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষাধিক টাকার বিনষ্ট করেএবং ঘরের মালামাল লুৎতরাজ করে নিয়ে যায়। এদিকে ময়নাল ও তছলিম উদ্দিন সহ বাড়ির অন্যান্যদের আর্তচিৎকারে প্রচন্ড বৃষ্টিতে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে তারা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। পরেরদিন তছলিম উদ্দিন ভুরুঙ্গামারী থানায় চিহ্নিত ভুমিদস্যু চক্রের ১৯জনের বিরুদ্ধে বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ করলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল তদন্ত করে ২৬ জুলাই মামলা রেকর্ড করে যার জিআর নং ১৫৬/১৯। এদিকে বাড়িভাংচুরের পরেও ক্ষ্যান্ত হয়নি উক্ত ভুমিদস্যু চক্রটি। তারা স্বদর্পে থানায় মামলার পরেও গত ২৮ জুলাই প্রকাশ্য দিবালোকে টিলার দিয়ে ময়নাল হকের বাড়িরভিটে নিশ্চিহ্ন করে দেয়। বাড়ি ভাংচুরের পর থেকে ভুক্তভোগী দুটি পরিবারের লোকজন খোলা আকাশের নিচে বসাবাস করে আসছে। এ বিষয়ে ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ কবিরের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান,আসামীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এলাকাবাসী এই নৃশংস হামলাকারীদের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী,কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন