কচাকাটা (কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
কচাকাটায় অবাধে চলছে নিষিদ্ধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন। প্রশাসনকে অভিযোগ করেও প্রতিকার পাচ্ছেনা এলাকাবাসী।ক্ষমতা কার বেশী প্রশাসন না ড্রেজার মালিকদের প্রশ্ন সুধীজনের।
জানাগেছে গত জুলাই মাসে নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানার কেদার ইউনিয়নের বাহের কেদার গ্রামের মৃত আব্দুল হক শেখের পুত্র আহসান আলী কেরানী,শাহাদৎ হোসেন, খোরশেদ আলম বলদিয়া ইউনিয়নের সতিপুরী গ্রামের মৃত রহিমুদ্দিনের পুত্র শহীদুল ইসলামের ড্রেজার মেশিন দিয়ে টেকনিক্যাল মোড়ে সরকারী নির্দেশ অমান্য করে কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের পাকা রাস্তার নীচ দিয়ে পাইপ স্থাপন করে বালু উত্তোলন করে।এলাকাবাসীর বাঁধা সত্বেও বালু উত্তোলন অব্যাহত রাখায় কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং ভুরুঙ্গামারী সার্কেল অফিসে লিখিত অভিযোগ করে। এদিকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভুরুঙ্গামারী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার শওকত আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। কিছুদিন বালু উত্তোলন বন্ধ থাকার পরে গত ২৫ আগষ্ট আবারও বালু উত্তোলন শুরু করলে এলাকাবাসী নাগেশ্বরী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার(এসিল্যান্ড) আল ইমরানকে জানালে বালু উত্তোলন ২ দিন বন্ধ থাকার পর আবারও গত বুধবার ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে। এলাকাবাসী আবারও নবাগত নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর আহমেদ মাসুমকে জানালেও বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। সারাদেশে ভুগর্ভস্থ বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করা সত্বেও প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে বালু উত্তোলন করা সত্বেও প্রশাসনের আইনী ব্যবস্থা না নেয়ায় প্রতিকার পাচ্ছেনা বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। নিষিদ্ধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ না করলে এলাকার অনেক আবাদী জমি ধ্বসে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি এবং বালু স্তুপকৃত জমির সাথে ৩/৪ টি সরকারী বক্স কালভার্ট বন্ধ হয়ে এলাকায় জলাদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে প্রায় শতাধিক হেক্টর জমি চাষাবাদের অযোগ্য হয়ে পরবে বলে ভুক্তভোগীরা জানান। এ বিষয়ে নবাগত নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর আহমেদ মাসুমের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান,ড্রেজার বন্ধ করতে এসিল্যান্ডকে জানানো হয়েছে।