ভূরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
বার বার সরকারি ঘোষণার পরেও উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে কমেনি পেঁয়াজের দাম। অবস্থা এখনো আগের মতোই। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজে দাম। বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির পরেও পেঁয়াজের দাম এখনো চড়া। ফলে এর সুফল পাচ্ছে না ভূরুঙ্গামারী বাসী। এক মাসের ব্যবধানে ভূরুঙ্গামারীতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে চার গুন। এখনো ৯০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, এক মাস আগেও ছিল দেশি পেঁয়াজ ৩০ টাকা ও ইন্ডিয়ান এল সি পেঁয়াজ ২৫ টাকা। হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষেরা। বুধবার (১৬অক্টোবর) সকালে উপজেলার সবচাইতে বড় বাজার ভূরুঙ্গামারী সদর হাটে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ৯৫ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ভূরুঙ্গামারী পাইকারি আড়তের ব্যবসায়ী মোঃ রাসেল বলেন, আমরা মোকাম (বগুড়া ও রংপুর) থেকে পেঁয়াজ কিনি, কিন্তু মোকামে পেঁয়াজ না পেয়ে কুষ্টিয়া থেকে পেঁয়াজ কিনেছি। প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম পড়ছে ৮৫ টাকা। ট্রানাসপোর্ট ও লেবার খরচ সহ আমরা পাইকেরি বিক্রি করছি প্রতি কেজি ৯২ থেকে ৯৫ টাকা। বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মো আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা মহাজনের ঘর থেকে প্রতি কেজি পেঁয়াজ কিনছি ৯০ থেকে ৯২ টাকায়। এর মধ্যে অনেক ময়লা ও পঁচা পেঁয়াজ থাকে । আমরা বিক্রি করছি প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১০০থেকে ১০৫ টাকা। পশ্চিম ছাট গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর হোসেন বলেন, গ্রামের হাটে পেঁয়াজের দাম ১২০ টাকা কেজি। তাই চার কিলোমিটার দূরে ভূরুঙ্গামারী বাজারে আসলাম পেঁয়াজ কিনতে কিন্তু পেঁয়াজের দাম একশ টাকা কেজি। এত দামে পেঁয়াজ কিনতে দিশেহারা হয়ে পড়ছি আমরা সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষেরা। একাধিক খুচরা ব্যবসায়ী ও বাজারকারি ব্যক্তির সাথে কথা বললে তারা পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায় রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে প্রসাশনের কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএইচএম মাগফুরুল হাসান আব্বাসী জানান, আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি । বাজার মনিটরিং এর জন্য ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে খুব শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে।