স্টাফ রিপোর্টারঃ

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের ভারতের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ বাঁশজানি ঝাঁকুয়াটারী গ্রামে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত বাঁশজানি ঝাকুয়াটারী জামে মসজিদ অবস্থিত।মসজিদটি নির্মানের পর থেকেই আজান হলেই দুর-দূরান্ত থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমান ছুটে আসতো নামাজ আদায় করতো।এভাবেই নামাজ চলতে থাকলো বছরের পর বছর,যুগের পর যুগ,শতাব্দী পেরিয়ে ৪৭ শে যখন দেশ ভাগ হয়ে গেল তখনও দুদেশের মানুষ আযান হলেই এক মসজিদে একসাথে এক কাতারে নামাজ আদায় করতো।
আবার ১৯৭১ সালের পর যদিও দুইটা ভিন্ন দেশ-ভারত আর বাংলাদেশ এবং দুদেশের সীমানার মাঝে কাঁটা তারের বেড়া।তবুও সীমান্তঘেঁসা বাশজানির এই মসজিদে আযান হলেই নামাজের জন্য কাঁটাতারের ওপার থেকে ছুটে আসে ভারতের মানুষ আর এদিক থেকে ছুটে যায় রাংলাদেশের মানুষ।শুধু তাই নয় এমসজিদটির মেরামত ও পরিচালনা ব্যায় সেটাও চলে দুদেশের মানুষের টাকায়। এমসজিদটি যেন দুই দেশের এক মসজিদ।
এই এলাকায় দুদেশের মানুষের একসাথে নামাজ ও হৃদয়ের সেতুবন্ধন যা চলছে প্রায় ২০০বছর থেকে। এই মসজিদ কে ঘিরে রয়েছে অনেক কৌতূহল অনেক সম্ভাবনা।এই মসজিদ টি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই ছুটে আসছে।আবার অনেকেই আসে দুদেশের মানুষের সাথে একসাথে নামাজ আদায় করতে।প্রতি শুক্রবার হলেই মসজিদটি পুর্ন হয় দুই দেশের ধর্মপ্রান মুসল্লীদের দিয়ে,দেখে মনে হয় বসে গেছে মিলন মেলা। অনেকেই আসে দু-দেশের মানুষের বন্ধন দেখতে। সরকারীভাবে এই মসজিদটি সংরক্ষণ ও সংস্কার করলে হতে পারে হতে পারে বাংলা-ভারতের মুসলমানদের মিলন মেলার পবিত্র ভুমি হিসাবে। মসজিদটির সৌন্দর্য বর্ধনসহ দুই দেশের এক মসজিদকে দ্রুত একটি দর্শনীয় স্থান হিসাবে ঘোষনা করে বাংলাদেশ ভারতের মৈত্রীবন্ধন অটুট রাখতে সরকারীভাবে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী এলাকাবাসীর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *