ভুরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ঃ
ভুরুঙ্গামারী উপজেলার বহলগুড়ি ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার কর্তৃক প্রতিষ্ঠাতা সুপার রুহুল কুদ্দুসকে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে বহিস্কার করার পায়তারার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, উপজেলার চর-ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের বহলগুড়ি ইসলামিয়া দ্বি-মুখী দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সুপার এইচ.এম রুহুল কুদ্দুস শারীরিক অসুস্থ্যতা জনিত কারনে গত ১নভেম্বর/১৭ ইং হতে ৩১ জুলাই/১৮ ইং পর্যন্ত মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থাকেন। ফলে পরিচালনা কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উক্ত সুপারকে সাময়িক বরখাস্ত করেন এবং মাদ্রাসার সহ সুপার ইব্রাহীম খলিলকে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব প্রদান করে। গত ৬ জুন/১৯ ইং তারিখে সুপার রুহুল কুদ্দুস ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি বরাবর মেডিকেল সনদসহ ছুটি মঞ্জুর ও বেতন-ভাতাদি প্রদান সহ স্বপদে যোগদানের আবেদন করেন। দীর্ঘদিন বেতন-ভাতা বন্ধ থাকায় উক্ত সুপারের পরিবারের মানবেতর জীবন যাপনের বিষয়টি বিবেচনা করে গত ১০সেপ্টেম্বর/১৯ ইং তারিখে তাকে স্ব-বেতনে ছুটি মঞ্জুর ও স্ব-পদে যোগদানের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। এতে সুপার বকেয়া চৌদ্দ মাসের বিল পান। কিন্তু অভিযোগ ও সরেজমিনে জানা যায়, ভারপ্রাপ্ত সুপার ইব্রাহীম খলিল ও তার ভাগ্নে সহকারী শিক্ষক আমিনুর যোগ সাজসে স্থায়ী ভাবে সুপার পদ লাভে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও পায়তারা চালাচ্ছে। এছাড়াও শিক্ষক হাজিরা খাতা বাড়িতে লুফিয়ে রেখে সুপারকে সাক্ষর করতে না দেওয়া, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গোপন করা এমনকি দুস্কৃতকারীদের ভাড়া করে সুপারকে প্রতিষ্ঠান গমনে বাধা ও লাঞ্চিত করার অভিযোগও রয়েছে।
এ ব্যপারে সুপার রুহুল কুদ্দুস জানান, সংসদ সদস্য আসলাম হেসেন সওদাগর ২৫ কুড়িগ্রাম-১ এর সুপারিশে ম্যানেজিং কমিটি মেডিকেল ছুটি মঞ্জুর করে আমাকে বেতনসহ পূর্ব পদে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত রেজুলেশনের মাধ্যমে গ্রহণ করে। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত সুপার, আমাকে চাকুরিচুত্য করার লক্ষে হাজিরা খাতাটি সে বাড়িতে লুকিয়ে রাখছে, আমাকে দায়িত্ব ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বুঝিয়ে দিচ্ছে না। এ ব্যাপারে গত ১৮নভেম্বর/১৯ইং অত্র প্রতিষ্ঠানে গেলে ভারপ্রাপ্ত সুপার ইব্রাহীম খলিল শিক্ষক হাজিরা খাতা যুগান্তরকে দেখাতে পারেননি। এ প্রসঙ্গে সহকারী শিক্ষক আক্তার হোসেন, নফছার আলী, কামরুজ্জামান,সাইফুর রহমান জানান, হাজিরা খাতা ভারপ্রাপ্ত সুপার অন্যত্র লুকিয়ে রাখায় আমরা ৪/৫ দিন পর পর হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করি। আজও স্বাক্ষর করতে পারি নাই। মূলত সুপারকে অনুপস্থিত দেখানোর জন্যই ভারপ্রাপ্ত সুপারের এই কারসাজি। এ ব্যাপারে সুপার রুহুল কুদ্দুস ২০নভেম্বর/১৯ ইং তারিখে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *