ভুরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
ভুরুঙ্গামারীতে ধর্ষণ মামলার বাদীকে ইয়াবা দিয়ে ফাসাতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন গোলজার ওরফে গোলবার নামের এক যুবক। জানাগেছে উপজেলার বঙ্গসোনাহাট ইউপির বানুরকুটি গ্রামের মোজাহার আলীর পুত্র রফিকুল ইসলাম একই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মনছুর আলী ওরফে পানমামুদের পুত্র মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা করলে ১০ ডিসেম্বর পুলিশ ঘটনার সত্যতা পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়। এরই জের ধরে গত রবিবার দুপুর ১২ টার সময় কচাকাটা থানার বলদিয়া ইউপির পরশুরামেরকুটি গ্রামের শহিদুল ইসলামের পুত্র গোলজার ওরফে গোলবার (২৮) ও কেদার সাধুর মোড় গ্রামের ইদ্রিস আলীর পুত্র সাইদুল ইসলাম ইয়াবা দিয়ে রফিকুলকে মিথ্যা মামলায় ফাসানোর জন্য দুজনে ২৫ পিছ ইয়াবা নিয়ে আসার পথে ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশের হাতে গোলজার আটক ও সাইদুল পালিয়ে যায়। জানাগেছে পলাতক সাইদুল ইসলাম দীর্ঘদিন থেকে নিজেকে কচাকাটা থানা পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। আটক গোলজার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদে রফিকুলকে ইয়াবা দিয়ে ফাসানোর কথা স্বীকার করেছে। ভুক্তভোগী রফিকুল অভিযোগ করে বলেন,কচাকাটা থানা পুলিশের সোর্স সাইদুল ও আটক গোলজার আমার প্রতিপক্ষের সাথে চক্রান্ত করে আমাকে ইয়াবা দিয়ে ফাসানোর চক্রান্ত করেছিল কিন্তু পুলিশের কারনে তাদের চক্রান্ত নস্যাৎ হয়েছে। তবে সাইদুল কচাকাটা থানার সোর্স এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি মামুন-অর-রশীদ জানান,সাইদুল থানার কোন সোর্স নয়,সাধারণ জনগনই আমার সোর্স। ভুরুঙ্গামারী থানার ওসি ইমতিয়াজ কবীর জানান, ইয়াবা নিয়ে আসার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই আব্দুর রকিব ও এএসআই আমিনুর রহমান-৩ ওৎপেতে সোনাহাট স্থলবন্দরের বানুরকুটি নামক এলাকা থেকে গোলজার নামে একজনকে আটক করলেও তার সহযোগী সাইদুল পালিয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ১৮,তারিখ ২২.১২.২০১৯ ইং।আসামীর স্বীকারোক্তি তদন্ত করে ধর্ষণ মামলার আসামী পক্ষের সম্পৃক্ততার প্রমান পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও মামলা করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *