কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ ২৯-১২-২০১৯ইং
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ী ইউনিয়নের নিভৃত পল্লী পত্রনবিশ গ্রামের দরিদ্র কবি শাহ জামালের জন্ম । ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি পাচঁ নম্বর । বাবা একজন গরীব কৃষক ছিলেন। বাবার অভাব অনটনের সংসারে লেখা-পড়া বেশি করতে পারেনি ক্লাশ ২য় শ্রেণি পাশ করে ৩য় শ্রেনিতে পা দেয়া হয়েছে মাত্র। তিনি পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি অন্যের বাড়ীতে বা অন্যের ফার্মে/গোলায় সারাদিন কাজ করে যা পায় তাই নিয়ে দুইছেলে দুইমেয়ে আর স্ত্রী মোর্শেদা বেগমকে নিয়ে কোন রকমে ছয় সদস্যের সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন।
ছোট বেলা হতে কবি শাহ জামাল বাংলা সাহিত্য চর্চায় খুবই আগ্রহী । সংসারে অভাব অনটনে তাঁর অদম্য ইচ্ছাশক্তিকে হার মানাতে পারেনি। তাই সারাদিন কাজ করে গভীর রজনীতে তার মনের গভীরে থাকা বাংলা সাহিত্যের কবিতা গল্প বেড়িয়ে আসে। কলম খাতা নিয়ে বসে পড়েন কবিতা গল্প লেখতে। সারারাত কেটে দেন কবিতা-গল্প লেখার কাজে।
কবি শাহ জামাল আর্থিকভাবে কিছু দেশ ও সমাজকে দিতে না পারলেও তাঁর লিখনির মাধ্যমে কিছু দিতে চান। তাঁর জীবন যাত্রার প্রতিটি মহুর্তে ফুটে এসেছে তারই লেখা কবিতার অংশে-
মিস্ত্রি কাজ করে আমি জীবন যাপন করি,
রাত্রি বেলা কবিতা গল্প লেখালেখি করি।।
অথবা
সিন্ধান্তই সফলতা,সিদ্ধান্তই বল,
সিন্ধান্তই আনতে পারে ভাল-মন্দ ফল।।
এরকম অসংখ্য কবিতা গল্প তাঁর পান্ডুলিপিতে শোভা পাচ্ছে। কবি শাহ জামাল এখন পর্যন্ত ১হাজার বেশী কবিতা লিখেছেন। যে গুলো অনেক পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে। ছোট পরিসরে নিজের সামান্য টাকা দিয়ে কিছুদিন আগে আলোর পথে একটি কবিতার বই বের করেন। বইটি প্রকাশের পর এলাকার সাড়া জাগিয়েছে সকলে তাঁেক কবি বলে সম্মোধন করছেন। সকলে তাঁর প্রকাশিত বইয়ের প্রশংসা করছেন। অনেকে বলেন ভাল পৃষ্ঠপোষকতা পেলে একদিন কবি শাহ জামালের নাম দেশ-বিদেশ ছড়িয়ে যাবে।
কবি শাহ জামাল জানান, তাঁর লেখা কবিতা-গল্প গুলো বই আকারে প্রকাশ করতে চান কিন্তু আর্থিক অভাবের কারণে তা বের করা সম্ভব হচ্ছে না। তাঁর লেখা কবিতা-গল্পগুলো বই আকারে প্রকাশ করার সহযোগীতার জন্য সরকারী,বেসরকারী সংস্থা,সমাজের দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসার প্রয়োজন।