রাজিবপুর(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি
৭ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টায় ১ লক্ষ টাকার দফারফার মাধ্যমে গ্রাম্য মাতবরগণ ধামাচাপার চেষ্টা করেছেন। ৭০ হাজার টাকা ভিক্টিমের বাবার হাতে তুলে দিয়ে বাকী ৩০ হাজার টাকা মাতাব্বরগণ ভাগাভাটি করে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । এ ব্যাপারে শিশুটির বাবা আইন আদালতের বিচার প্রার্থী হতে পারছেনা। কারন ধর্ষক ক্ষমতাসীন এক নেতার আত্নীয় বলে। ঘটনা সুত্রে জানা গেছে,রবিবার সধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চর রাজিবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড়াইডাঙ্গী গ্রামে উক্ত ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাটি ঘটে। এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে,উক্ত বড়াই ডাঙ্গী গ্রামের ইমান আলীর লম্পট পুত্র ২ সন্তানের জনক রেজাউল করিম অরফে দুদু (৩০)মিয়া কান্ডটি করেছে। এলাকাবাসী ও শিশুটির পিতা মোস্তাফিজুর রহমান জানান,তিনি ও তার স্ত্রী ,কন্যা নিয়ে বড়াই ডাঙ্গী গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা সিরাজ-উদ দৌলার বাড়িতে উঠুলি (পরবাস) থাকেন। কারণ তার জায়গা জমি নেই। তার আদী বাড়ী পাবনায়। সে বর্তমানে দুদু মিয়ার দোকানে কাজ করেন। ঘটনার রাতে তিনি ইফতার শেষে রাতের খাবার খেতে গেলে ওই সুযোগে তার মেয়েকে জাপটে ধরে ও ধর্ষণের চেষ্টা করে দুদু। তার শিশু কন্যার চিৎকারে সে তার স্ত্রী ও আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে লম্পট দুদু পালিয়ে যায়। পরে রাত ১১টায় গ্রামের মাতবরগণ এ নিয়ে শালিসী মিমাংসার করার কথা বলে কোথাও যেতে দেয়নি। পরে সিরাজ-উদ-দৌলার নেতৃত্বে ১ লক্ষ টাকার রফাদফার মাধ্যমে দামাচাপা চেষ্টা করে। তবে এ ব্যাপারে সিরাজ-উদ-দৌলা সাংবাদিকদের বলেন,ঘটনা সত্য তবে তিনি এ বিচারে উপস্থিত ছিলেন না।শালিসী বৈঠকের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, আইন-আদালতের বিভিন্ন ঝামেলা তাই তারা গ্রাম বাসী বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়েছেন। শালিসী বৈঠকের আরেক মাতবর আবু সাইদ দলিল লেখক বলেন, ৭০ হাজার টাক রাতেই শিশুর পিতারকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকী টাকা সোমবার রাতের মধ্যেই দিয়ে মিমাংসা পত্রে স্বাক্ষর নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে চর রাজিবপুর থানার অফিসার ইন চার্জ মো. গোলাম মোর্শেদ তালুকদার জানান, তার নিকট কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। আসলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *