ওয়ালিউর রহমান রাজু, লালমনিরহাট \ লালমনিরহাট ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক ড. ওমর ইবনে হাসানের বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারীর অভিযোগে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপ-পরিচালক ড. ওমর ইবনে হাসানের বাসার কিশোরী গৃহপরিচালিকার মা রিনা বেগম বাদী হয়ে গত ১৩ মে এ মামলাটি দায়ের করেন । ড. ওমর ইবনে হাসান ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বয়ড়া গ্রামের মৃত: ইমাম হাসান এর পুত্র। মামলার বিবরণে জানা গেছে, লালমনিরহাট শহরের বি.ডি আর গেট ষ্টেশন রোডস্থ বড় মসজিদ সংলগ্ন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক ওমর ইবনে হাসান। তিনি উক্ত অফিসে যোগদান করার সুবাদে শহরের খুটামারা বটতলা এলাকায় তিনি পরিবার ছাড়াই ভাড়া বাসায় থাকেন। তার বাসায় এক কিশোরী গৃহপরিচালিকা হিসেবে কাজ করতেন। উপ-পরিচালকের পরিবার পরিজন না থাকার সুবাধে কিশোরী গৃহপরিচালিকার উপর ওমর ইবনে হাসানের কু-নজর পড়ে। এক পর্যায়ে তাকে কু – প্রস্তাব দেন তিনি। এছাড়াও উক্ত হাসান গৃহপরিচালিকার বাবাকে অটো কিনে দেওয়ার কথা বলেও আর্থিক প্রলোভন দেখায়। এতেও ওই গৃহপরিচালিকা রাজী হয়নি। তাতে ক্ষুদ্ধ হন তিনি। গত শুক্রবার ১ মে কিশোরী গৃহপরিচালিকা বাসায় কাজের জন্য আসলে উক্ত উপ-পরিচালক তাকে জোর পূর্বক বাথরুমে নিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন এবং ধর্ষণের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এ সময় ওই কিশোরীর আত্মচিৎকারে তার নানীসহ এলাকার লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে যান উক্ত উপ-পরিচালক ওমর ইবনে হাসান। বিষয়টি নিয়ে গৃহপরিচালিকার মা বিভিন্ন স্থানে বিচার দিয়ে না পেয়ে অবশেষে লালমনিরহাট সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। প্রেক্ষিতে সদর থানার পুলিশ অভিযোগ তদন্ত করে ঘটনাটি প্রাথমিক ভাবে সত্যতা পাওয়ায় গত ১৩ মে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে উক্ত উপ-পরিচালক ওমর ইবনে হাসানের বিরুদ্ধে মামলাটি এজাহারভুক্ত করেন। যার মামলা নং-৩১, তারিখ ১৩/৫/২০২০। এ ব্যাপারে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজ আলম জানান, লালমনিরহাট ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক ওমর ইবনে হাসান এর বিরুদ্ধে গৃহপরিচালিকা ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। উক্ত উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ বিষয়ে লালমনিরহাট ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক ওমর ইবনে হাসানের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি। এদিকে মামলা দায়েরের কয়েকদিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও থানা পুলিশ উক্ত কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেনি। এ ব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনর্চাজ মাহফুজ আলম বলেন, সরকারী নিয়ম অনুযায়ী উক্ত কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হবে।