রণিকা বসু(মাধুরী)
বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি÷

এ যেন মরার উপরে খাড়া ঘা৷ ঘূর্ণিঝড় আম্পানে মানুষের উপরে নেমে এসেছে যেন কালো মেঘের ছায়া৷এই আঘাত শুকাতে না শুকাতে উপকূলিও গ্রাম গুলোর মানুষ এখন দিশেহারা৷একের পর এক চলছে প্রকৃতির তান্ডব৷কখনো ঝড়.কখনো নদী ভাংঙ্গন আবার জলছ্রাস৷
প্রকৃতির দেওয়া কষ্ট যেন মানুষের নিত্যসঙ্গী৷
বাগেরহাটের জেলার শরণখলোয় পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে আম্পান বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে আবারও বগী গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের পর গত এক সপ্তাহে সেখানের তিনটি গ্রামের মাঠে ও বাড়িঘড়ের পানি নেমে এলাকা স্বাভাবিক হলেও গত তিনদিন ধরে ভেঙ্গে যাওয়া সেই বাঁধ দিয়ে আবার জোয়ারের পানি প্রবেশ করে এলাকায়। এখানের তিন শতাধিক পরিবার আবারও পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এখন। অনেকেই নিজেদের বাড়িঘড় ছেড়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। চুলোয় পানি ঢুকে গেছে। রান্না বান্নার কাজ রয়েছে বন্ধ। আম্পানে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার পর প্রায় ১৫ দিন পার হলেও তা সংস্কার না করায় অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের পর এখানে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টা এসে দ্রুত রিংঁবাধ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে এখনো তা কার্য্যকরী হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান, সোহাগ, সেলিনা খানম, জাকারিয়া হাওলাদার জানান, ভাঙ্গন দেখতে আয় সবাই, মুখে মুখে সবাই ভাঙ্গন হাইর‌্যা দেয়, বাস্তবে এত দিন হইলো কেউ বাধ বাইন্দ্যা দিলোনা, মোরাতো জোয়ারে ভাসি আর ভাডায় হুগাই, জানিনা এই ভাবে কতদিন বাইচ্যা থাকতে পারমু। তবে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরদার মোস্তফা শাহিন জানিয়েছেন। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে অতি অল্প সময়ের মধ্যে বাঁধের কাজ শুরু হবে। সেনা বাহিনীর বরিশাল শেখ হাসিনা সেনানিবাসের একটি দল ইতোমধ্যে বেড়িবাঁধ সংলগ্ন চালিতাবুনিয়া গ্রামের সরকারি প্রাইমারি স্কুলে ক্যাম্প স্থাপন করে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *