বাগেরহাট প্রতিনিধি
দক্ষিণ-পশ্চিম উপকুলীয় দূর্যোগ কবলিত জেলা বাগেরহাট। বিগত বিভিন্ন দূর্যোগে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় অতিদরিদ্র পরিবারের পাশে জেজেএস সবসময় সহযোগীতার হাত বাড়িয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় পৃথিবীব্যাপী কোভিড-১৯ ভাইরাস এর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি আন্তজার্তিক সহযোগী সংস্থা কনসার্ন ওয়াল্ডওয়াইড সহায়তায় জেজেএস কোষ্টাল কমিউনিটি রেজিলিয়েন্স প্রজেক্ট এর মাধ্যমে শরণখোলা ও মোংলা উপজেলায় ৬০০০ অতিদরিদ্র পরিবারের মাঝে তাদের নানাবিধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। বর্তমানে কার্যক্রমের মধ্যে প্রকল্পের কর্মীগন সরকারি বিধিমালা মেনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে উপকারভোগী, স্বেচ্ছাসেবী গ্রুপ সিএসপি ও ক্রাগ সদস্যদের সচেতন করছেন। পাশাপাশি প্রকল্পের গ্রুপ লিডারগন, সিএসপি ও ক্রাগবৃন্দ সকলের মাঝে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার করা, বহিরাগতদের হোমকরেন্টাইন নিশ্চিতে প্রশাসনকে সহায়তা করা, এলাকাতে জিবানুনাশক ছিটানো কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের ভোকেশনাল সহায়তাপ্রাপ্ত সদস্যগন কাপড় দিয়ে তিনস্তর বিশিষ্ট মাস্ক তৈরি করে বিতরন ও বাজারজাত করছে। যার ফলে পরিবারগুলো আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হচ্ছে অন্যদিকে তারা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর ভুমিকা পালন করছে। এ প্রসংগে মোংলা পৌরসভার সদস্য কোহিনুর বেগম (৩০) বলেন- ” আমি জেজেএস এর মাধ্যমে দর্জি প্রশিক্ষণ পাওয়ার ফলে এমন মহামারিতে সকলকে নিরাপদ রাখতে মাস্ক তৈরি করে অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে বিতরন করছি ও বিক্রয় করে পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে পেরেছি।” প্রকল্পের পক্ষ থেকে দুই উপজেলার ৬০০ পরিবারের মাঝে, বাগেরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়, দুই উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর, উপজেলা পরিষদ দপ্তর, ইউনিয়ন পরিষদ, সিপিপি সদস্যদের মধ্যে ২৯০ জনকে হাইজিন কিট বিতরনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন। বিতরনে সহায়তাকারী ৪০ জনকে পিপিই প্রদান করা হবে। কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সিএসপি, ক্রাগ ও ইউডিএমসির ১৫০ জনকে অনলাইনে ওরিয়েন্টশন প্রদান করা হয়েছে।
এ প্রসংগে মিঠাখালী ইউনিয়ন ক্রাগ সেক্রেটারি মো: শাহ আলম বলেন- “জেজেএস এর মাধ্যমে আমরা অনলাইনে যে প্রশিক্ষণ পেলাম সেটা ব্যতিক্রম আয়োজন। এর ফলে আমরা অন্যদের প্রশিক্ষিত করতে পারবো।