খালিদ আহম্মেদ রাজা রংপুর থেকে

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার সারডোব এলাকা সহ হলোখানা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে গত বছর মেরামত করা অংশের কয়েকটি স্থানে ধস নেমেছে। বাঁধের ৩-৪ ফুট অংশ অবিশিষ্ট আছে। যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে। বাঁধটি ভেঙে গেলে পানি ঢুকে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি ফসলহানি ও নদী ভাঙনের কবলে পড়ার আশঙ্কা করছেন নদী তীরের মানুষ। কয়েক হাজার মানুষ ঝুঁকির মুখে থাকলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তা পরিদর্শন না করায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে এলাকাবাসীর মনে।
এইদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, বাঁধটি রক্ষায় বালুর বস্তা ফেলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শিগগিরই শুরু করা হবে কাজ। সারডোব গ্রামের বাসিন্দারা জানান, বাঁধটি ভেঙে গেলে হলোখানা, রাঙামাটি, চর কাগজিপাড়া, ভাঙামোড়, খোঁচাবাড়ি, চর বড়াইবাড়ি, লক্ষ্মীকান্ত দ: রাঙামাটি, মণ্ডলপাড়াসহ প্রায় ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হবে। একই গ্রামের বাসিন্দা রেজাউল করিম বলেন, ‘বাঁধ ভাঙে যাচ্ছে, প্রশাসনিক থেকে কেউ দেখতে আসেনী। বাঁধ ভাঙার আতংকে অনেকের নির্ঘুম রাত কাটছে। গত দু’বছরের বন্যায় ধরলা নদীর তীরবর্তী সারোডোব ও বড়ভিটা এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কয়েকটি স্থানে ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। গত বছর গ্রামবাসীদের উদ্যোগে বাঁধ মেরামত করে কোনোমতে চলাচল উপযোগী করা হয় বাঁধের ওপর দিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ কুড়িগ্রাম-ফুলবাড়ী সড়কটি। বাঁধের রাস্তার অর্ধেক অংশ নদীতে বিলীন হওয়ায় বাকি অংশে বাঁশের পাইলিং দিয়ে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হয়। গ্রামবাসীরা চাঁদা তুলে এই কাজ শুরু করে। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ড বালির বস্তা দিয়ে সহায়তা করে। তবে এতো কিছুর পরেও রক্ষা পাচ্ছে না বাঁধটি।

এই দিকে ফোন আলাপে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বাঁধটি রক্ষার জন্য আমরা খুব দ্রত ব্যবস্থা নিবো। মানুষের চলাচল যাতে স্বাভাবিক হয় সেই ব্যবস্তা গৃহন করতেছি। তবে ৮০০ মিটার তীর সংরক্ষণ কাজের অনুমোদন পাওয়া গেছে। বর্ষা মৌসুমের পরপরই কাজ শুরু হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন