স্টাফ রিপোর্টার:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত একজনের অবস্হা আশংঙ্কাজনক।হামলার এ ঘটনাটি ঘটেছে ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের ৯ নং ওয়াডের রাঙ্গামাটি গ্রামে।
এলাকাবাসী আব্দুল মজিদ সরকার(৩৮), বাচ্চু সরদার(৫৫) ও ৯ নং ওয়াডের ইউপি সদস্য সাইয়েদুল হক(৪২) জানায়, কয়েক দিন আগে হোসেন আলীর বাড়ীতে প্রতিবেশী নুরজামালের পালিত ভেড়া যাওয়াকে কেন্দ্র করে উভয় পরিবারের মাঝে ঝগড়া হয়। তারই জের ধরে নুরজামাল তার প্রতিবেশী হোসেন আলীর উপড় হামলার পরিকল্পনা করে এবং ঢাকায় গার্মেন্টসে কর্মরত তার দুই ছেলেকে বাড়ীতে আসতে বলে। গতকাল বিকেলে তারা বাড়ীতে এসে পৌঁছানোর পরে আজ আনুমানিক বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নুরজামাল(৬০) তার স্ত্রী শাহিদা(৫১) তিন ছেলে তাজুল ইসলাম(৩৫), সফিকুল ইসলাম(৩০), মাইদুল ইসলাম(২৮) মিলে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হোসেন আলীর বাড়ীতে গিয়ে তার উপড় অতর্কিত হামলা চালায়। হোসেন আলীর চিৎকারে তার স্ত্রী ও শিশু সন্তান বাধাদিতে আসলে হামলা কারীরা তাদেরকেও আক্রমণ করে। হামলাকালে তারা ধানকাটা কাস্তে দিয়ে হোসেন আলী ও তার স্ত্রীর গলায় আঘাত করে এবং তাদের ছেলে সন্তানকে মাটিতে আছার মেরে তার বুকে পা দিয়ে অনবরত আঘাত করতে থাকে। তাদের চিৎকারে এলাকাবাসীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় হোসেন আলী(৫০) তার স্ত্রী গোলাপি(৪০) ও ছেলে জাইদুল(১০) কে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে হোসেন আলীর অবস্থা আশংঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
এলাকাবাসীরা হামলাকারী নুরজামালের তিন ছেলে ও স্ত্রীকে আটক করে গাছের সাথে বেঁধে রাখে এবং পুলিশে খবর দেয়। এ সময় হামলার মূল হোতা নুরজামাল পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। খবর পেয়ে ফুলবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক হামরাকারীদের থানায় নিয়ে আসে। এ রিপোর্ট করা পর্যন্ত থানায় মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে।