নুরনবী মিয়া, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে চাচাত ভাইয়ের ধর্ষনে অন্তঃসত্বা এক নারী বিচারের নামে প্রতারণার শিকার হয়ে দুর্বিসহ জীবন যাপন করছেন। বিচারে ধর্ষকের সাথে বিয়ের আশ্বাসে দুই লক্ষ ৫ হাজার ক্ষতিপূরণ আদায় করা হলেও টাকা পায়নি অন্তঃসত্বা নারী। পায়নি অনাগত সন্তানের পিতৃ পরিচয়। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার ছোট কামাত গ্রামে।

জানা গেছে,ওই গ্রামের বদিউজ্জামান ওরফে বাহাদুর ভাটিয়ার ছেলে কামরুল ইসলাম বুলবুল (৩০) তার আপন চাচাত বোন এক সন্তানের জননীকে একাধিকবার জোর পুর্বক ধর্ষন করেন। এতে ওই নারী অন্তঃসত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। পরে রাগে অভিমানে নারীর স্বামী বাড়ী ছেড়ে চলে যান। ধর্ষনে অন্তঃসত্বা হওয়ার ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে স্থানীয় মাতব্বরদের ম্যানেজ করে ধর্ষক বুলবুল। এক পর্যায়ে ইউপি সদস্য আব্দুল বাতেনের আয়োজনে ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শেখের বাড়ীতে সালিশ বৈঠক বসানো হয়।

অন্তঃসত্বা ওই নারী বলেন, আমার এ অবস্থার জন্য বুলবুল দায়ী। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় আপোষের নামে আমার কাছে জোর করে সই স্বাক্ষর নিয়ে আমার সাথে প্রতারণা করেছে। আমি তাদের উপযুক্ত বিচার চাই।

ওই নারীর মা বলেন, সালিশে বুলবুলের সাথে তার মেয়ের বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয় এবং ক্ষতিপুরণ বাবদ দুই লক্ষ ৫ হাজার টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আপোষনামায় মেয়ের স্বাক্ষর নেন মাতব্বররা। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা কোন টাকা পয়সা দেয়নি।

কামরুল ইসলাম বুলবুলকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার পরেও তাকে পাওয়া যায় নাই।

ইউপি সদস্য আব্দুল বাতেন জানান, প্রথম সালিশে ছিলাম পরের সালিশে ছিলাম না। তবে ওই রানী অন্তসত্বা।

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শেখ ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে জানান, ওই নারী বর্তমানে দুর্বিসহ জীবন যাপন করছেন এটা ঠিক। তবে ১০ নভেম্বর তার পাওয়া বুঝে দেওয়া হবে।

ফুলবাড়ী থানার ওসি রাজীব কুমার রায় জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোজ খবর নিয়ে তাকে আইনি সহায়তা প্রদান করা হবে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন