কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে রাজধানীর নামিদামি স্কুলগুলোতে যে রমরমা বাণিজ্য চলছে তা বন্ধে সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, জাতীয় পে-স্কেলের বরাত দিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফি ও বেতন বাড়ানোর ‘হিড়িক’ পড়েছে, যা অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিক। তিনি বলেন, দেশের এক শ্রেণীর শিক্ষক নামধারী শিক্ষাকি বাণিজ্যে পরিনত করেছে। ঐ সকল শিক্ষকদের জীবনমান প্রমান করে তারা শিক্ষাকে শোষনের হাতিয়ারে পরিনত করেছে। তারা ভূলে গেছে শিক্ষা বাণিজ্য নয়-অধিকার। সরকারের উচিত ঐ সকল শিক্ষক নামধারীদের আয়ের উৎস খুজে বের করা। দুদকের দায়িত্ব শুধু রাজনীতিবিদদের কলংকিত করা নয়। সমাজের শিক্ষক নামধারী দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতির খুজে বরে করাও তাদের দায়িত্ব।
এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া আজ সোমবার সকালে নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্র কেন্দ্রে‘র কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় প্রধাণ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখছিলেন। জাতীয় ছাত্র কেন্দ্রে‘র সমন্বয়কারী সোলায়মান সোহেলের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ন্যাপ যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ শাহজাহান সাজু, সম্পাদক মোঃ শহীদুননবী ডাবলু, মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, ছাত্র কেন্দ্রে‘র যুগ্ম সমন্বয়কারী স্বরজিৎ কুমার দ্বিপ, গোলাম মোস্তাকিন ভুইয়া, নির্বাহী সদস্য আবুল হোসেন, সীমা আক্তার প্রমুখ।
এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, সরকারের নীতিমালার ফাঁকফোকরেই স্কলে কতৃপক্ষ ইচ্ছামতো বেতন বাড়াচ্ছে। সেশন চার্জ সরকার নির্দিষ্ট করে দিলেও বেতন কি পরিমাণ বাড়াতে পারবে বা কোন পরিপ্রেক্ষিতে বেতন বাড়াবে সে ব্যাপারে কোনো নীতিমালা নেই। ফলে সেই সুযোগটাই স্কুলের অসৎ কতৃপক্ষ গ্রহন করছেন। সরকারের উচিত অবিলম্বে এই সকল নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা। তিনি বলেন, ছাত্র রাজনীতি হলো দেশের ছাত্র সমাজের অধিকার আদায়ের জন্য। কিন্তু, আজ ছাত্র রাজনীতি দলীয় অনুগত্যের লোবাসে ধ্বংস হয়ে গেছে। ছাত্র নেতারা এখন ব্যবহৃত হন দলের হাতিয়ার হিসাবে। এখান থেকে ছাত্র রাজনীতিকে মুক্ত করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে সোলায়মান সোহেল বলেছেন, আদর্শহীন ছাত্র রাজনীতি জাতির কোন কল্যাণ করতে পারবে না। তাই দেশ-জাতি ও গণতন্ত্রের স্বার্থে আদর্শের ভিত্তিতে ছাত্র রাজনীতির সূচনা করতে হবে।