কোকো স্মৃতি পরিষদের সভাপতি নাহিদ গুলনার ইভা ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শেখ ফরিদ দুলাল বলেছেন, মাওলানা ভাসানী ছিলেন আফ্রো-এশিয়া, ল্যাটিন আমেরিকার নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর। তাঁর কন্ঠে উচ্চারিত হতো বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের দাবি। তিনি ছিলেন মজলুমের বন্ধু, সাম্রাজ্যবাদ, আধিপত্যবাদ এবং অত্যাচারী শাসক ও শোষক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এক আপোষহীন যোদ্ধা।

আজ শনিবার (১২ ডিসেম্বর) মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কোকো স্মৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তারা এসব কথা বলেন । দপ্তর সম্পাদক মারুফ সরকারের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারা আরো বলেন , বর্তমানে আমাদের দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব চরম সংকটাপন্ন। গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে মাস্তানতন্ত্র কায়েম করা হয়েছে। প্রহসন ও তামাশার নির্বাচন করে গণতন্ত্রবিনাশী উৎপীড়ক শাসক গোষ্ঠী জনমতকে রক্তাক্ত পন্থায় দমন করে ক্ষমতা জবরদখল করে রেখেছে। আমাদের জাতীয় স্বাধীনতার প্রথম তুর্যবাদক মওলানা ভাসানীর উদ্যোম ও সাহসিকতাকে আঁকড়ে ধরে রাখতে পারলেই গণতন্ত্র বিরোধী ফ্যাসিবাদী ও আগ্রাসী শক্তিকে আমরা রুখতে সক্ষম হবো ইনশাল্লাহ্।

মাওলানা ভাসানী রাজনীতির আলোকবর্তিকা হাতে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে এর আলো ছড়িয়ে দেন। গ্রামের অসহায় দরিদ্র মানুষদের রাজনৈতিক অধিকার আদায়ে তিনি আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন। ইতিহাসে এই মহানায়ক ১৯৭৩ সালের সর্বশেষ পাসপোর্ট অনুযায়ী ১২ ডিসেম্বর, ১৮৮০ সালে জন্মগ্রহন করেন সিরাজগঞ্জের সয়া-ধানগড়া গ্রামে। পিতার নাম হাজী শরাফত আলী খাঁ ও মাতার নাম মজিরন বিবি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *