লালমনিরহাট প্রতিনিধি :
লালমনিরহাটের তিস্তা নদী সুরক্ষায় ৬ দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রধান মন্ত্রীর বরাবরে গণস্বাক্ষর কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল বিকালে তিস্তা হযরত ফাতেমাতুজ্জাহারা মহিলা মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে এ কার্যক্রম ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে
প্রধান অতিথি ছিলেন তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী, বিশেষ অতিথি ছিলেন সধারন সম্পাদক শফিয়ার রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লালমনিরহাট জেলা কমিটির সভাপতি গেরিলা লিডার ড. এস এম শফিকুল ইসলাম কানু। বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্য নাট্যকর মাখন লাল দাস, অধ্যক্ষ আমিনুল হায়াত আহমেদ মুকুল, সুপার মওলানা মজিবুর রহমান, এ্যাড.চিত্ত রঞ্জন রায়, বীরমুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী,গোকুন্ডা ইউনিয়নের সাবেক সদস্য জহুরুল হক, স্কুল শিক্ষক মাসুম মিয়া প্রমুখ।
বক্তাগণ তিস্তা নদী সুরক্ষায় মহা-পরিকল্পনা গ্রহণ করায় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে তা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবী জানান। বক্তাগণ সকল প্রকার নীতিবাচক আলোচনা পরিহার পূর্বক ৬দফা দাবীর সমর্থনে বৃহত্তর রংপুর বিভাগের প্রতিটি জেলার সকল রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ সর্বস্তরের মানুষের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। বক্তাগণ আরো বলেন, অতিদ্রুত তিস্তা নদীর মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়িত না হলে অত্রাঞ্চলের ৩ কোটি মানুষের অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি পরিবেশ বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ছয় দফাসমূহ হলো : ১. তিস্তা নদী সুরক্ষায় ‘মহাপরিকল্পনা’ দ্রুত বাস্তবায়ন, অভিন্ন নদী হিসেবে ভারতের সঙ্গে ন্যায্য হিস্যার ভিত্তিতে তিস্তা চুক্তি সম্পন্ন, তিস্তা নদীতে সারা বছর পানির প্রবাহ ঠিক রাখতে জলাধার নির্মাণ। ২. তিস্তার ভাঙ্গন, বন্যা ও খরায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণ। ৩.ভাঙ্গনের শিকার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসন। ৪. তিস্তা নদী সুরক্ষায় বিজ্ঞানসম্মত খনন, মহাপরিকল্পনায় তিস্তা নদী ও তিস্তা তীরবর্তী কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষায় ‘কৃষক সমবায় এবং কৃষিভিত্তিক শিল্প কলকারখানা গড়ে তোলা’। ৫. তিস্তা নদীর শাখা-প্রশাখা ও উপ-শাখাগুলোর সঙ্গে নদীর পূর্বেকার সংযোগ স্থাপন এবং দখল-দুষণমুক্ত করা। নৌ চলাচল পুনরায় চালু। ৬. মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ এবং প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তিস্তা পাড়ের মানুষদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা। শেষে সকলের সম্মতি ক্রমে গণস্বাক্ষরিত স্মারকলিপি প্রধান মন্ত্রীর বরাবরে প্রেরন করেন।