জামালপুর প্রতিনিধি ॥
জামালপুর স্টেশন বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য শারীরিকভাবে অসুস্থ মো. শেখ ফরিদ সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত রবিবার বিকেলে জামালপুর শহরের মৃধাপাড়ায় তার বাড়ির কাছেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে জামালপুর সদর থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগনেতা মো. শেখ ফরিদ।
জানা গেছে, জামালপুর শহরের মৃধাপাড়া এলাকার বাসিন্দা জামালপুর স্টেশন বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য মো. শেখ ফরিদ দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছেন। গত রবিবার বিকেলে মৃধাপাড়া মসজিদে আছর নামাজ পড়েন তিনি। নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে মৃধাপাড়া এলাকায় মজিবর রহমানের ছেলে মো. লিটন, মতু মিয়ার ছেলে মো. শরিফ ও রুনুর ছেলে মো. সিহাবসহ অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও কয়েকজন প্রথমে শেখ ফরিদের সাথে অসদাচরণ করেন। এ সময় ওই যুবকদের কয়েকজন শেখ ফরিদের গালে থাপ্পর মারেন। শেখ ফরিদ এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় তারা। পরে মসজিদে আসা মুসুল্লিরা তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন। এতেও ক্ষান্ত হয়নি ওই যুবকরা। কিছুক্ষণ পর তারা শেখ ফরিদের বাসায় গিয়ে শেখ ফরিদের ওপর দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা করে। হামলায় শেখ ফরিদের মাথা ফেঁটে যায়। শেখ ফরিদের স্ত্রী মর্জিনা বেগম হামলাকারীদের বাঁধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। পরে তাদের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা দ্রুত সেখান থেকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। গুরুতর আহত শেখ ফরিদকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।
এ ব্যাপারে শেখ ফরিদের স্ত্রী মর্জিনা বেগম বলেন, আমার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে কষ্ট হয় বিধায় তিনি বসে নামাজ আদায় করেন। রবিবার হামলাকারীরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার স্বামীকে নির্যাতন করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। আমার স্বামীর অপারেশন ও চিকিৎসার জন্য বাড়ীতে রাখা নগদ এক লাখ ৭৫ হাজার ৫০০ টাকাও লুট করে নিয়ে গেছে হামলাকারীরা। একই দিনে দুই দফা নির্যাতনের কারণে শারীরিকভাবে আরো গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আমার স্বামী। আমার স্বামী বাদী হয়ে তাকে নির্যাতনের অভিযোগ এনে জামালপুর সদর থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি সুস্থ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
জামালপুর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাবিবুর রহমান এ প্রতিবেদককে বলেন, আহত মো. শেখ ফরিদের অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ তদন্ত করে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো জানান, এ ঘটনা তদন্তের জন্য থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *