মো: নাজমুল হুদা মানিক ॥
আওয়ামী পরিবারের সন্তান ভালুকা উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের বিশিষ্ট সমাজ সেবক মো: আক্তার হোসেন সরকার আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী।

সমাজসেবা, দানশীলতা, আপামায় জনগনের সাথে যোগাযোগের কারনে তাকে নিয়ে এলাকায় রয়েছে নির্বাচনী আমেজ। একজন শক্তিশালী প্রার্থী হিসাবে জনমনে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন তিনি। কর্মদক্ষতা, নিষ্ঠা ও সততার কারনে এলাকায় কুড়িয়েছেন ব্যাপক সুনাম আর সুখ্যাতি। নির্বাচিত হলে ডাকাতিয়া ইউনিয়নকে ডিজিটাল ও আধুনিক ইউনিয়ন হিসাবে গড়ে তুলতে চান তিনি।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ^াসী মো: আক্তার হোসেন সরকার ছাত্রজীবন থেকেই মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, স্বৈরাচার আর অপসংস্কৃতির বিরোদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করে হয়ে উঠেছেন অন্যায়ের বিরোদ্ধে প্রতিবাদী বলিষ্ট কন্ঠস্বর।

চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ইউনিয়ন থেকে দুর করতে চান সমাজের অন্যায়, অবিচার, অত্যাচার, দুনীতি, মাদক, বাল্যবিবাহ সহ সমাজের যত অসংগতি। রাজনৈতিক জীবনে বর্তমানে মো: আক্তার হোসেন সরকার আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ ভালুকা উপজেলা শাখার সহসভাপতি হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন।

পাশাপাশি তিনি বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ভালুকা উপজেলা শাখার যুগ্ন আহবায়ক। এর আগে তিনি ভালুকা উপজেলা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি ঘাতক দালাল নির্মল কমিটি ৮নং ডাকাতিয়া ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ৮নং ওয়ার্ড পাঁচগাঁয় ডাকাতিয়া ইউনিয়ন শাখার ত্রান ও সমাজ কল্যান সম্পাদক হিসাবে কাজ করছেন।

তিনি পাঁচগাঁও (মুসলিম ভিটা ) জামে মসজিদ এর জমিদাতা ও সভাপতি । পেশাগত দক্ষতায় তিনি একজন সম্মানিত দলিল লিখক। দলিল লেখকদের সংগঠন বাংলাদেশ দলিল লিখক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটি ঢাকা এর তিনি আইন বিষয়ক সম্পাদক। দলিল লিখক সমিতি ময়মনসিংহ জেলা শাখার তিনি অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সাবেক সভাপতি ৮নং পাঁচগাঁও ওয়ার্ড যুবলীগ শাখা। সাবেক ছাত্রনেতা আক্তার হোসেন দলিল লেখক সমিতি ভালুকা উপজেলা শাখার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

পরপর তিনি ২বার নির্বাচিত হন। দলিল লিখক সমিতির পরপর ৩বার নির্বাচিত সাবেক সম্মানিত সদস্য ছিলেন। তিনি পাঁচগাঁও ডাকির ভিটা বাজার কমিটির সাবেক সাধারন সম্পাদক ছিলেন। ছাত্র রাজনীতি থেকে বর্তমানে তিনি আওয়ামীলীগের মাধ্যমে একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসাবে জনসেবায় মনোনিবেশ করেছেন। অকুতোভয়ে জনগনের কাজ করে যাচ্ছেন প্রানপনে। মাধ্যমিক শিক্ষায় শিক্ষিত আক্তার হোসেন কাজের মাধ্যমেই সমাদুত হয়েছেন জনগনের মাঝে।

পিতা মো: এলাহী বকস স্বনামেই ভালুকা সাবরেজিষ্ট্রি অফিসের একজন দলিল লিখক হিসাবে সুপ্রতিষ্ঠিত। সমাজের জন্য কাজ করেছেন একজন সমাজে সেবক হিসাবে। তিনি পাঁচগাঁও আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য। পিতার সুযোগ্য সন্তান হিসাবে মানুষের সেবাকে ব্রত হিসাবে বেছে নিয়েছেন আক্তার হোসেন। ছাত্রজীবন থেকে তিনি মসজিদ, মাদরাসা, স্কুল সহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের পাশে দাড়িয়ে সার্বিক সহায়তা করেছেন। ২ ছেলে ১ মেয়ের জনক তিনি। ছেলে বিএ ও মেয়ে মাষ্টার্স এ লেখাপড়া করছে। পাশাপাশি ছেলে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন।

এছাড়া ছোট ভাই আকরাম হোসেন মাষ্টার সাবেক ছাত্রনেতা ছিলেন। আক্তার হোসেন বিগত বিএনপি আমলে রাজনৈতিক অনেক মামলায় আসামী হয়ে জুলুম নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন। তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের সিদ্ধান্তের বাইরে কোনদিন যাইনি। দলীয় সিদ্ধান্তে নৌকা প্রতিকের বাইরে কাজ করিনি। রাজনৈতিক জীবনে দলীয় সকল কর্মকান্ডে অংশ গ্রহন করেছি। তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের সকল আন্দোলন সংগ্রামে ছিলাম, ভবিষ্যতেও উতপোৎ ভাবে জড়িত থাকবো।

তিনি আরো বলেন, বিগত সময়ে এরাশাদ বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে অংশ গ্রহন করেছি। সম্প্রতি ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত জাতির জনকের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অনুষ্ঠনেও ২শত লোক নিয়ে ভালুকা থেকে ময়মনসিংহে অংশ গ্রহন করেছি। তিনি জানান, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আমাদের বাড়ীতে থেকে বীরমুক্তিযোদ্ধাগন মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করতেন। মুক্তিযোদ্ধাগন বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযুদ্ধ করলেও রাতে এসে থাকতেন আমাদের বাড়ীতে। আমার বাপ চাচাগন বীরমুক্তিযোদ্ধাগনদের খাবার পরিবেশন করতেন।

আমি তখন মুক্তিযোদ্ধাদের খাবারের সময় লবন ও পানি পরিবেশন করতাম। তিনি আরো বলেন, আমি যেহেতু নির্বাচিত হতে পরিনি। তাই সরকারী ভাবে জনগনের জন্য কোন উন্নয়ন করতে পারিনি। তবে ব্যাক্তিগত ভাবে জনগনের উন্নয়নে স্বাধ্যমত সকল প্রকার উন্নয়ন করেছি। করোনাকালীন সময়ে গরীবদু:খী মানুষের মাঝে খাদ্যবন্ত্র সহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এলাকায় ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন সহ বিভিন্ন খেলায় খেলোয়ারদের জার্সি সহ সরঞ্জামাদী ও বিভিন্ন রকম সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন