পুনম শাহরীয়ার ঋতু, গাজীপুর:
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আবারও জেঁকে বসেছে শীত, কনকনে শীতের মাঝে আবার হালকা বৃষ্টির কারণে শীতের তীব্রতায় কাঁপছে হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল বস্ত্রহীন মানুষ। শীত ক্রমেই বাড়ছে, সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে গরীব অসহায় মানুষের কষ্ট। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে হতদরিদ্র নিম্ন আয়ের মানুষের জনজীবন। বুধবার সকাল থেকেই শীতের তীব্রতায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এর মাঝেই দুপুরে ঝরলো জমজম বৃষ্টি, সারাদিনেও মিলেনি সূর্যের দেখা।
সরেজমিনে ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ফুলবাড়ীয়া, সূত্রাপুর, ঢালজোড়া, আটাবহ, বোয়ালী, শ্রীফলতলী , বিশ্বাস পাড়া,হরিনহাটি সহ বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েকদিনের শীতের তীব্রতায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ।
সারা রাত ঝড়তে থাকে কুয়াশা। শীতের কারণে কেউ আবার কাজ বন্ধ করে বসে আগুন পোহাচ্ছেন। এতে করে বৃদ্ধ ও শিশুদের নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। চারিদিক অতিরিক্ত কুয়াশা ও হাল্কা বাতাস থাকায় চরম ঠাণ্ডায় কাজে বেড় হতে পারছেন না মানুষ।
নদীর তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের প্রান্তিক মানুষের মধ্যেও বেড়েছে দুর্ভোগ। শীত জনিত রোগের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে প্রত্যন্ত এলাকায়। এছাড়া গৃহপালিত পশুপাখি নিয়েও চরম বিপাকে পড়েছেন খামারীসহ অন্যান্যরা। তীব্র শীতে বেড়েছে বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীর চাপ।
এদিকে শীত আর চরম ঠাণ্ডার কারণে জমে উঠেছে মৌসুমী পুরানো শীতের কাপড় ব্যবসায়ীরা । তুলনামূলকভাবে কম দাম থাকায় ফুটপাতের দোকানে গুলিতে জনসাধারণের উপচে পড়া ভিড়। ক্রেতা ও বিক্রেতারা জানান, শীতের কারণে কয়েক দিন ধরে শীতের কাপড়ের দাম হঠাৎ বেড়ে গেছে।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়াম্যান সেলিম আজাদ জানান, আমরা মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের মাধ্যমে শীত বস্ত ও কম্বল বিতরণ করেছি। পর্যায়ক্রমে সকল অসহায় গবির-দুঃখী মানুষদের মাঝে শীত বস্ত ও কম্বল বিতরণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী হাফিজুল আমিন জানান, শীতার্ত মানুষের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে ৬ লাখ টাকার বরাদ্ধ এসেছিল। তার মাধ্যমে প্রায় ১৩শত কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। তারপর আমরা যখনই কোথাও খবর পাচ্ছি, অসহায় মানুষ জ্ঞাত অবস্থায় আছে তাৎক্ষনিকভাবে তাদেরকে কম্বল সরবরাহ করাসহ সাহায্য করা হচ্ছে।