লালমনিরহাট প্রতিনিধি :
লালমনিরহাটের কুলাঘাটের ধরলা নদীর চরে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি। প্রশাসন নীরব ভুমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, জেলার সদরের কুলাঘাট ইউনিয়নে বিএনপি নেতা বালুখেকো ফরিদুল দীর্ঘ দিন থেকে ধরলা নদীর চর থেকে অবৈধ ভাবে প্রতিদিন বালু উত্তোলন পুর্বক বিক্রি করছে। প্রতিদিন শতশত ট্রাক বালু বিক্রি করলেও এলাকাবাসীর অভিযোগের বিষয়ে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছে না। এসব অভিযোগ করেছেন এলাকার মোতালেব, আজিবর ও নজরুল সহ অসংখ্য কৃষক। তারা জানান, নদীর পার থেকে বালু উত্তোলনের কারনে কৃষি জমি যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি ওয়াবদা বাধের ওপর দিয়ে প্রতিদিন শতশত ট্রাক যাতায়াত করার কারনে বাধটি হুমকির মুখে পড়েছে।
বর্ষাকালে বাঁধ ভেঙ্গে কুলাঘাটের পাকারাস্তা সহ বাজার পানিতে ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষক মোতালেব আরো অভিযোগ করে বলেছেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অসংখ্যবার অভিযোগ করার পরেও বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না তা আমার বোধগম্য নয়। তিনি বলেন, এই বিএনপি নেতা ফরিদুলের খুটির জোর কোথায় তা এলাকাবাসী জানতে চায়?।
তারা উক্ত ফরিদুলের গ্রেফতারের দাবীও জানিয়েছেন। জানা গেছে, কুলাঘাট ইউনিয়নের ১নং চর শীবেরকুটি এলাকার মো: আমজাদ হোসেনের পুত্র বিএনপি নেতা ফরিদুল ও দক্ষিণ শীবেরকুটির মৃত বাবর আলাীর পুত্র ভোলা দীর্ঘ দিন থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন পুর্বক দেদারছে বিক্রি করছে। ধরলা নদীর চরের পার কেটে নৌকা যোগে বালু এপারে এনে বিক্রি করছে দেদারছে। বিষয়টি প্রশাসন জেনে ও না জানার ভাবন করছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগের বিষয়টি প্রশাসন আমলে না নেওয়ার কারনে প্রতিদিন বিনা বাধায় এই বালু খেকোরা অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে দেধারছে বিক্রি করেই যাচ্ছে।
প্রতিদিন শতাধিক বালু ভর্তি ট্রাক লক্ষ লক্ষ টাকা বিক্রি করে নিজেরা লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এলাকার কৃষক ও জনগণ। এই অবৈধ বালু উত্তোলনের টাকা প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তা ও কয়েকজন সাংবাদিক ভাগবাটোয়ারা করে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এব্যাপারে সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার রায়ের সাথে আজ শনিবার বিকাল ০৪: ২৮ মিনিটে মোবাইলে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি। এছাড়াও কুলাঘাট ইউনিয়ন ভুমি অফিসের কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করলে তারা নীরব ভুমিকা পালন করেন।
উল্লেখ্য, প্রতিদিন শতশত বালু ভর্তি ট্রাকগুলো কুলাঘাট ইউনিয়ন ভুমি অফিস ও সদর উপজেলা পরিষদের সামনে দিয়ে যাতায়াত করছে। এব্যাপারে ফরিদুলের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি কাউকে পরোয়া করিনা। আমার কাছ আমি চালিয়ে যাবো আপনারা (সাংবাদিক) আমার বিরুদ্ধে কি লেখেন লেখেন।