এস.এম.রকি,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
বিগত বছরগুলোতে ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় এবছর শস্য ভান্ডার খ্যাত উত্তরের জেলা দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে ব্যাপক হারে দেশীয় ‘সাদা সোনা’ খ্যাত রসুন আবাদ করেছেন চাষীরা। এবার এ অঞ্চলে রসুন আবাদের জমির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে বাম্পার ফলনও হয়েছে। অল্পদিনের মধ্যেই এসব রসুন ঘরে তুলতে পারবেন বলে আশাবাদী রসুন চাষীরা তবে দাম নিয়েও শঙ্কায় চাষীরা। কেননা কয়েক মাস আগে রসুন প্রতি কেজি ৭০-৭৫ টাকা দরে বিক্রি হত সেটার দাম কমে গিয়ে এখন ২৭-৩০ টাকা কেজি।

সেচ-সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবারও ভালো ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ আর রসুন চাষে কৃষককে উৎসাহিত ও সহযোগিতা করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।

উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে প্রায় ৩৩১০ হেক্টর জমিতে রসুন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষ হয়েছে প্রায় ৩৭৫০ হেক্টর জমিতে।

শনিবার সকালে সরেজমিনে উপজেলার জুগীরঘোপা,কায়েমপুর,কাচিনীয়া,আগ্রা ও ছাতিয়ানগড় গ্রাম ঘুরে জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় এবছর রসুন চাষও যেমন বেশী হয়েছে তেমন ফলনও হয়েছে বাম্পার কিন্তু দাম নিয়ে ব্যাপক শঙ্কায় চাষীরা। শুরুতে রসুনের ভালো দাম থাকলেও শেষ সময়ে দাম কমেছে। এতে লোকসানের শঙ্কায় আছে লাভের আশায় থাকা রসুন চাষীরা।

রসুন চাষি মশিউর রহমান জানান, প্রতি বিঘা জমিতে রসুন চাষে শ্রমিক ও চাষ বাবদ খরচ হয় প্রায় ২০ হাজার টাকা এবং বীজ, রাসায়নিক সার ও সেচ বাবদ খরচ হয় আরো ২৫ হাজার টাকা। ভালো ফলন হলে বিঘা প্রতি ৬০-৬৫ মণ রসুন পাওয়া যায়। গড়ে প্রতি মণ রসুন ৩০০০ টাকা করে দাম হয় এক লাখ ৭০ হাজার টাকা কিন্তু এখন এর বাজার মূল্য মাত্র ৭৫ হাজার টাকার মত।

উপজেলা কৃষি অফিসার বাসুদেব রায় জানান, বর্তমানে খানসামা উপজেলায় দেশীয় ‘সাদা সোনা’ রসুন অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল হয়ে উঠেছে। লাভজনক হওয়ায় বর্তমানে এই ফসল ব্যাপক পরিসরে চাষ হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া ভালো আছে। তাই এবারও রসুনের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন