শেখ মোঃ সাইফুল ইসলাম গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হাতিয়া খালে পানি না থাকায়, পুড়া গুলোতে বিষ প্রয়োগ করে দেশি মাছ নিধনের বানিজ্য করে আসছেন কিছু সংখ্যক জ্বেলে ও খালের পার্শ্ববর্তী জমির মালিকগণ।

দীর্ঘকাল থেকে নদীর কুড়ায় বিষ প্রয়োগ করে দেশি মাছ ধ্বংসের ব্যাপক অভিযোগ থাকলেও যথাযথ প্রমাণ না থাকায় কারো বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি।

গতকাল ২৩/০৩/২০২১ ইং তারিখে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় সচেতন মহল, জানতে পায় রাতে হাতিয়া খালে বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরা হবে।

রাত ১০ টার দিকে নদীতে কাশদহ গ্রামের নজরুল ইসলামের কুড়ায় বিষ প্রয়োগের সন্ধান পায় স্থানীয় এলাকার সচেতন মহল।

হাতিয়া খালের আশপাশে মাছ নিধনের অপেক্ষায় থাকেন সচেতন এলাকাবাসী, একপর্যায়ে মাছ ধরা শুরু হলে, উপস্থিত হয়ে কয়েক জন জ্বেলেকে আটক করা হলে, স্থানীয় মৌজার মেম্বার মইফুল উপস্থিত হয়ে, বাগ বিতর্ক শুরু করেন, তিনি আরো বলেন আমাদের জমিতে নদী, আমরা মাছ বিষ করে ধরব কি ধরব না, এটা আমাদের বিষয়। 
কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে জ্বেলেগণ পালিয়ে যায়।

বিষয়টি সাংবাদিক শেখ মোঃ সাইফুল ইসলাম জানতে পেলে, ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে, আটক করা ব্যক্তিদের মুখে বিষ প্রয়োগের কথা ভিডিও ধারণ করেন।

একপর্যায়ে বিষ প্রয়োগের মূল হোতা কাশদহ মৌজার মেম্বার মইফুল ইসলাম, উপস্থিত হয়ে কথা কাটাকাটি শুরু করলে আটক ব্যক্তিগণ পালিয়ে গিয়ে তাঁরাও হুমকি দিতে থাকেন।

ঘটনা স্থল থেকে ফিরতে না ফিরতেই সাংবাদিকের ভাতিজার এই ০১৭৪০৮০৮৫২৭ নাম্বারে মইফুল মেম্বার তার মুঠোফোন নম্বার থেকে এই ০১৭৩৫৪৬১১৮৯  নাম্বারে হুমকি প্রদান করেন।

পরবর্তীতে মইফুল মেম্বার বিভিন্ন ফোন নাম্বার থেকে রাতে হুমকি প্রদর্শন করেন।

হুমকির বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহিল জামান-কে মুঠোফোনে অবগত করার জন্য, তার মুঠোফোনে কল করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।

পড়ে হাতিয়া ব্রিজ থেকে চৌরাস্তা মোড়ে আসতে না আসতেই দেখা মেলে একটি পুলিশ পিক-আপ ভ্যানের, ভ্যানে থাকা এএসআই আবুল কালাম ও কয়েক জন কনস্টেবলের সামনে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধনের বিষয়টি অবগত করা হলে, তারা বলেন, আমরা অন্য বিষয়ে তদন্তে এসেছি, আপনারা ডিউটি অফিসার-কে বিষয়টি অবগত করেন, ডিউটি অফিসার-কে বিষয়টি অবগত করা হলে, এএসআই বলেন, আমরা ফেরার পথে বিষয়টি দেখবো।

পড় দিন ২৪/০৩/২১ তারিখে নদীতে বিষ প্রয়োগের বিষয়টি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা মর্স কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম সাবুর নিকট জানানো হলে তিনি বলেন, ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পড়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল মারুফ-কে বিষয়টি অবগত করা হলে তিনিও ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।

স্থানীয় এলাকার সচেতন মহলের দাবি জনসাধারণের খালে দীর্ঘদিন থেকে অবৈধ ভাবে বিষ প্রয়োগ করে দেশি মাছ ধ্বংস করে আসছেন তারা। 

তাই বিষ প্রয়োগে মাছ নিধনের দায়ে, তাদের বিরুদ্ধে আইন-আনুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা অতিব জুরুরি বলে মনে করেন সচেতন মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *