কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এর যথাযথ সুপারিশ পেয়েও কলেজ অধ্যক্ষের অসহযোগীতায় প্রভাষক পদে যোগ দেয়া হলোনা চাকরি প্রত্যাশী উম্মেহানির। অমানবিক এ ঘটনাটি ঘটেছে, কুড়িগ্রাম জেলার চিলামারী উপজেলার গোলাম হাবিব মহিলা ডিগ্রি কলেজে।
এদিকে, কলেজে যোগদিতে না পেরে চাকরি প্রার্থী উম্মেহানি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নিবার্হী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট বিভাগে ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে।
জানা গেছে, বিধি সম্মত ভাবে মোছা. উম্মেহানি গত ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ ফেব্রুয়ারি কুড়িগ্রামের চিলমারীতে অবস্থিত গোলাম হাবিব মহিলা ডিগ্রি কলেজের চাহিদার বিপরীতে বাংলা প্রভাষক পদে প্রতিস্থাপনের জন্য নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সুপারিশ প্রাপ্ত হন। সুপারিশ পত্র অনুযায়ী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কলেজে যোগদান করার কথা। সে অনুযায়ী গত ২৩ ফেব্রুয়ারি উম্মেহানি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ সংশ্লিষ্ট কলেজে যান। ওইদিন কলেজের অধ্যক্ষ জাকির হোসেন এনটিআরসিএ কতৃপক্ষের কাগজ পত্র দেখে বলেন, এখন আমি ব্যাস্ত বেধে দেয়া সময় সীমার মধ্যে নিয়োগ দেয়া হবে। পরবর্তীতে একাধিক বার তার কাছে গেলে তিনি নিয়োগ না দিয়ে টালবাহানা শুরু করেন। এ অবস্থায় চাকরি প্রত্যাশী প্রার্থী বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দারস্থ হন।
মোছাঃ উম্মেহানি জানান, যোগ্যতা অনুসারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েও কলেজে যোগদান করতে পারিনি। আমি এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। যোগদান নিশ্চিত করতে শিক্ষামন্ত্রী ও এনটিআরসিএ চেযারম্যান মহোদয়ের হস্তক্ষেপ দাবি করছি।
এ ব্যাপারে বৃহসপতিবার গোলাম হাবিব মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. জাকির হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, নিবন্ধন কতৃপক্ষের নির্দেশনা মুলক ফরওয়ার্ডিং না আসায় আমি যোগদান নিতে পারিনি। কলেজে শিক্ষক সংকট রয়েছে, নিবন্ধন কতৃপক্ষের চিঠি পেলে যোগদান দেয়া হবে।
চিলমারী উপজেলা নিবার্হী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ্, অভিযোগ পাবার কথা স্বীকার করে বলেন বিষয়টি দেখবো।
জেলা শিক্ষা অফিসার (ডিইও) মো. শামছুল আলম জানান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছি, প্রতিবেদন হাতে এলে বিধি সম্মত ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।