ভুরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
ভুরুঙ্গামারীর চর ধাউরারকুটি গ্রামের পৈতৃক জমিতে পাট ক্ষেতে হালচাষে বাঁধা দেয়ায় দিনমজুর আব্দুল মতিনের পরিবারের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে চর ধাউরারকুটি এলাকার প্রভাবশালী বিএনপি নেতা ময়েন উদ্দিন ও তার লোকজন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ভুরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের চর ধাউরারকুটি গ্রামের মৃত্যু সাহাবাজ উদ্দিনের পুত্র আব্দুল মতিনগংয়ের সাথে পার্শ্ববর্তী ময়েন উদ্দিন গংয়ের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ৩০এপ্রিল ২০২১খ্রিঃ শুক্রবার দুপুর ১২টা ১৫মিনিটে পুর্ব পরিকল্পিতভাবে চর ধাউরারকুটি গ্রামের জামাল প্রামাণিকের পুত্র ময়েন উদ্দিনের নেতৃত্বে রফিকুল, সফিকুল, ফকির জামাল, সাইফুর, মালেক, মাহাবুর, আজাদুল, রিয়াজুল, দুলু, গোলজার, সফিকুল হক, মমেনা বেগম, মরিয়ম বেগম, লাকি বেগম, সাহারা বেগম, চায়না বেগম, মুকুল মেম্বারসহ ভাড়াটিয়া প্রায় ৩০-৩৫জন লোক দেশী অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পাওয়ার টিলার নিয়ে মতিনের পৈতৃক সম্পত্তি ৪০শতকে পাটের ক্ষেতে জোর পুর্বক হালচাষ শুরু করলে মতিনের লোকজন গিয়ে বাঁধা দেয়ায় ময়েন উদ্দিন সংঘবদ্ধরা তাদের ধারালো অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ৭জনকে আহত করে এবং পাট ক্ষেতে সুপারী গাছের চারা পেট্টোল দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। আহতরা মনোয়ারা বেগম, খোদেজা বেগম, চায়না বেগম, বুলবুলি বেগম, নুর জাহান বেগম ভুরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন এবং গুরুত্বর আহত আনছার আলী, ফজিলা বেগমকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চর ধাউরারকুটি গ্রামের আলমগীর হোসেন, ফরিদুল, সুরুজ্জামাল, রশীদ জামাল, লতিফসহ একাধিক ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, দিনমজুর আব্দুল মতিনের পৈতৃক জমিতে পাটের ক্ষেতে হালচাষে বাঁধা দেয়ায় স্থানীয় প্রভাবশালী ময়েন উদ্দিন ও তার প্রায় ৩০-৩৫জন লোক অসহায় মতিনের পরিবারের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে ৭জনকে আহত করেছে।
হামলার শিকার আব্দুল মতিন বলেন, ময়েন উদ্দিন গংরা দীর্ঘদিন থেকে আমাদের জমি দখলের পাঁয়তারা করে আসছে। আজকে ময়েন উদ্দিন গংরা ভাড়াটিয়া গুন্ডাবাহিনীসহ আমাদের পাটক্ষেতে হালচাষ করে ও শতাধিক সুপারি গাছ কেটে পেট্টোল দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের লোকজন বাঁধা দিতে গেলে বিএনপি নেতা ময়েন বাহিনী ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়।
হামলাকারী ময়েন উদ্দিন বলেন, আমাদের পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি দীর্ঘদিন থেকে মতিন গংরা দখলে রেখেছে। আমরা জমি উদ্ধারের জন্য গেলে উক্ত সংঘর্ষ ঘটে।এতে আমাদেরও লোকজন আহত হয়েছে।
ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।