মো: জহুরুল ইসলাম,নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুরের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছে জলঢাকা থানা পুলিশ ।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার রাজা হরিশ্চন্দ্র পাঠ বহুমুখী স্কুল এন্ড কলেজে এক অভিভাবক সমাবেশ চলাকালীন সময়ে চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর এর ওপর এই সন্ত্রাসী হামলা করা হয় ।

এসময় উক্ত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জলঢাকা উপজেলার সাংসদ সদস্য মেজর ( অবসরপ্রাপ্ত ) রানা মোহাম্মদ সোহেল, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর , ইউএনও মাহবুব হাসান , অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুক্তারুজ্জামান, জলঢাকা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান পৌরমেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলু ,আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সহীদ হোসেন রুবেল , জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব অধ্যাপক মমিনুল ইসলাম রঞ্জু ও খুটামারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাইদ শামীমের উপস্হিতিতে চেয়ারম্যান বাহাদুরের ওপর এই সন্ত্রাসী হামলা টি করা হয় ।

এবিষয়ে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে কথা হলে তারা জানান যে আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজা হরিশ্চন্দ্র পাঠ বহুমুখী স্কুল এন্ড কলেজের এক অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন করা হয় উক্ত সমাবেশে সাংসদ মনোনীত স্কুলের সভাপতি নির্বাচিত করা হলে চেয়ারম্যান এর ওপর এই হামলা টি করে বিরোধী দলের লোকজন।

এবিষয়ে চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর এর সাথে কথা বলার চেষ্টা হলে তিনি গুরুতর আহত হওয়ার কারনে তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি ।

এদিকে জলঢাকা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি নিজেই সেই অভিভাবক সমাবেশে উপস্থিত ছিলাম , কিন্তু আমি ও বিষয় টি বুঝতে পারিনি যে স্কুলের সভাপতির নাম ঘোষণার সাথে সাথেই মাননীয়া চেয়ারম্যান মহোদয় এর ওপর এই হামলা টি হবে তবে হামলার ঘটনার পর আমরা যারা প্রথম চেয়ারম্যান এর ওপর হামলা করে তাদেরকে আটক করি তারা হলেন হরিশ্চন্দ্র পাঠ এলাকার বাসিন্দা কাল্ট মামুনের ছেলে আনিছুর রহমান ( ৩৫) ও একই এলাকার ঝড়ু মামদের ছেলে লোকমান হোসেন (৫০) আটক করি ।

এদিকে রাজা হরিশ্চন্দ্র পাঠ বহুমুখী স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক আব্দুর আজিজের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি কল রিচিভ করেনি ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *