কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে কুড়িগ্রাম দাসেরহাট থেকে সোনাহাট স্থলবন্দর পর্যন্ত কুড়িগ্রাম জেলা সড়ক কে জাতীয় মহাসড়কে বরাদ্দ হয় একনেকে। রানা বিল্ডার্স প্রাইভেট লিমিটেড ১৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দে নাগেশ্বরী দক্ষিণ ব্যাপারীরহাট থেকে রায়গঞ্জ বাজার পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়কের কাজ শুরু করেন। এতে স্থানীয়রা খুশী।
জানা গেছে, একনেকের ৬৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দে কুড়িগ্রাম দাসেরহাট থেকে সোনারহাট রেলসেতু পর্যন্ত ৪৬.৩৯ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক এবং ২৩২ কোটি টাকা বরাদ্দে সোনাহাট পিসি গার্ডার সেতু ৬৪৫ মিটার-এপ্রক্স সড়ক ২.৩২ মিটার নির্মাণসহ ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দে সোনাহাট রেলসেতু থেকে সোনাহাট স্থলবন্দর ৫.১৮ কিলোমিটার জাতীয় মহা সড়কের নির্মান বরাদ্দ আসে। এম এম বিল্ডার্স সোনাহাট পিসি গার্ডার সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করলেও সেতু ডিজাইন সমস্যায় কাজ বন্ধ।
অপরদিকে দাসেরহাট থেকে সোনাহাট রেলসেতু পর্যন্ত ৪৬.৩৯ কিলোমিটার মহাসড়ক ৪ টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২ নভেম্বর ২০২০ সালে কাজ শুরু করার নির্দেশনা থাকলেও ৩ টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এখনো পর্যন্ত কাজ শুরু করেনি। কিন্তু যথা সময়ে রানা বিল্ডার্স প্রাইভেট লিমিটেড ১৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দে নাগেশ্বরী দক্ষিণ ব্যাপারীরহাট থেকে রায়গঞ্জ পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার প্রস্ত ৩৪ ফিট জাতীয় মহাসড়কের কাজ বিধি মোতাবেক শুরু করেন। এতে স্থানীয়রা খুশী। মহাসড়কের নির্মান কাজ শেষ হলে সড়কে দুর্ঘটনা ও গণ পরিবহনে যানজট কমে যাবে। জরুরি রুগি দ্রুত সেবা পাবে। সোনাহাট স্থলবন্দরে আমদানি রপ্তানি বাড়বে আর ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিক উন্নয়নে লাভবান হবেন। স্থানীয় কর্মহীনদের কর্মস্থল বাড়বে ও ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। শহরের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির পাশাপাশি জেলার চিত্র পাল্টে যাবে।
স্থানীয়রা বলেন, সড়কের নির্মান কাজ শেষ হলে সড়কে দুর্ঘটনা ও যানজট কমে যাবে। সোনাহাট স্থলবন্দরে আমদানি রপ্তানি বাড়বে ও কর্মহীনদের কর্মস্থলে কাজ করার সুযোগ পাবে ও ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। শহরের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পাবে।
রানা বিল্ডার্স প্রাইভেট লিমিটেড প্রকল্প পরিচালক শিহাব উদ্দিন বলেন, সড়ক বিভাগের অধীনে কুড়িগ্রাম দাসেরহাট থেকে সোনাহাট স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়কের নাগেশ্বরী দক্ষিণ ব্যাপারীরহাট থেকে রায়গঞ্জ পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার রাস্তা আমরা রানা বিল্ডার্স লিমিটেডের আওতায় কাজ করে আসছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হতে পারে।
কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, সোনাহাট স্থলবন্দরের উন্নয়ন ও এলাকার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায় কুড়িগ্রাম জেলা সড়কটি জাতীয় মহাসড়কে নির্মান কাজ চলছে। আমরা সার্বক্ষণিকভাবে কাজ পরিদর্শন করছি।
সওজ রংপুর জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, কুড়িগ্রাম দাসেরহাট হয়ে নাগেশ্বরী থেকে ভুরুঙ্গামারী সোনাহাট স্থলবন্দর পর্যন্ত জেলা সড়কটি জাতীয় মহাসড়কে নির্মান কাজ চলছে। আমরা নির্মান কাজ সঠিকভাবে রক্ষণাবক্ষেণ করছি।