কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
আসন্ন বর্ষার প্রস্তুতি হিসেবে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় নদী ভাঙন রোধে চিহ্নিত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাঁধ নির্মাণ ও বাঁধ রক্ষার কাজ অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় হাতিয়া ইউনিয়নের নয়াবস এলাকার ব্রহ্মপূত্র নদীর ডানতীর ৫০০ মিটার নদীতীর সংরক্ষন কাজ প্রায় শেষ হলেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান প্রকল্পের বিল না পাওয়ার পরেও কাজ করছেন। নদী ভাঙন কবলিত মানুষের মাঝে ফুটে উঠেছে আনন্দের জোয়ার।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স ডন কর্পোরেশন এন্ড সানফ্লাওয়ার কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের সাব ঠিকাদার কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগ কোষাধ্যক্ষ নি.ম. নজমুল ক্রাউন এর মাধ্যমে পওর প্যাকেজ কুড়ি/এডিবি/চিলমারী/পি-০৩/০৪ বরাদ্দ ২৮কোটি ১৩লাখ ১৬হাজার ২২১টাকা ৭১৩পয়সা ব্যয়ে কুড়িগ্রামের চিলমারী ও উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের নয়াবস এলাকার ব্রহ্মপূত্র নদীর ডানতীর ৫০০ মিটার নদীতীর সংরক্ষন সিসি ব্লক ও জিও ব্যাগ দিয়ে বিধি মোতাবেক বাঁধের কাজ করছেন এবং কাজ প্রায় শেষ। এতে স্থানীয়রা নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পাওয়াসহ ফসলী জমিতে ফসল ফলায়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নে লাভবান হয়ে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাবেন। তাদের চোখে মুখে আনন্দের ঢেউ।

স্থানীয় মজনু, রফিকুল ইসলাম, সিরাজুল হক, মনজুরুল হক, সাইদুল হাসানসহ অনেকে বলেন, ব্রহ্মপূত্র নদীর ডানতীর বাঁধ নির্মাণ হওয়ায় ভাঙনের কবল থেকে অনেক সড়ক, ফসলি জমি, মসজিদ, মন্দির, গোরস্থান ও জনবসতি রক্ষা পাবে। জমিতে ফসল ভালো হবে। এলাকার সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পাবে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাব ঠিকাদার কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগ কোষাধ্যক্ষ নি.ম. নজমুল ক্রাউন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা ব্রহ্মপূত্র নদীর ডানতীর নির্মান কাজ বিধি মোতাবেক করছি। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, ব্রহ্মপূত্র নদীর ডানতীরে বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে। আমরা সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান করে আসছি। করোনা মহামারি সময়েও আমরা নদী ভাঙন রোধে কাজ চালিয়ে আসছি। আশা করছি বর্ষা সমাগত হওয়ায় আগে কাজ শেষ হয়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *