মোঃ রফিকুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি
সোনার বাংলা গড়ার প্রাণভোমরা ভুমি মালিকদের ভোগান্তি দূর করতে সরকার ভুমি ব্যবস্থপনাকে ডিজিটালাইজ করছে। ভুমি মালিকরা অনাদিকাল থেকে হয়রানির শিকার হতো নানাভাবে । ভুমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনার নানান জটিলতা ও অনিয়ম থেকে ভুমি মালিকদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি নিরসনে  চালু হচ্ছে ডিজিটাল ভুমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম। সরকারের এই উদ্যোগে  সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভুমি মালিকগন। ডিজিটাল ভুমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থা চালু হলে  দীর্ঘদিনের অনিয়ম  ও ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাবে ভুমি মালিকরা।

জমিজমা সংক্রান্ত মামলা মোকদ্দমা,খাজনা প্রদান,  রেকর্ড, খতিয়ান ও নাম জারির মতো জটিলতা নিরসনে আসবে যুগান্তকারী সাফল্য। ভুমি নিয়ে সৃষ্ট সংঘাতে রক্তের সম্পর্ক বিচ্ছিন্নকারী পরিবার গুলোর মাঝে ফিরে আসবে সম্প্রীতির অটুট বন্ধন। আত্মিক সম্পর্ক উন্নয়নে দূরীকৃত হবে অনেক বাধা বিপত্তি। সমাজে ফিরে আসবে প্রত্যাশিত  সুখ ও শান্তি।

ডিজিটাল পদ্ধতি গ্রহন করায়, সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নানান  জটিলতা অতিক্রম করে সুখি ও সমৃদ্ধশালী দেশ গড়ার  দক্ষসেনা হিসেবে এবার ভুমি মালিকরা হলেন উন্নয়নের সহযাত্রী ।  উন্নয়ন যোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় ভুমি মালিক শ্রেণীর মধ্যে বিরাজ করছে আনন্দ আমেজ।

আগামী ৩০ জুন থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে ভূমি উন্নয়ন কর বা জমির খাজনা ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ও’ই সময়ের পর থেকে প্রচলিত (ম্যানুয়াল) পদ্ধতিতে আর ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হবে না। কেননা এর পরিবর্তে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হবে।
বৃহস্পতিবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-১ অধি শাখা থেকে সচিব এর পিএ মোঃ মোস্তাফিজার রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত যাবতীয় নির্দেশনা সম্বলিত একটি পত্র হাতে পায় কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

ভুমি মমন্ত্রনালয়ের লক্ষ্য আলোকিত করতে কুড়িগ্রামের জেলাপ্রশাসক সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি সরকারের সাফল্য তুলে ধরে ভুমি মালিকদের জোটবদ্ধ করতে নানান উদ্যোগ নিয়েছেন।  মন্ত্রনালয়ের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কুড়িগ্রামের ডিসি ভুমি মালিকরা সহ সকল শ্রেণী পেশার লোকজন কে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারের এই ডিজিটাল সেবা নিতে উৎসাহিত করছেন।

এদিকে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় কুড়িগ্রাম জেলার ৯টি উপজেলার সকল ইউনিয়নে মৌজা ওয়ারী ভূমি মালিকের তথ্য অনলাইনে এন্ট্রি দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ভূমি মালিকেরা খতিয়ানের কপি, পূর্ববর্তী দাখিলার কপি, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং মোবাইল নাম্বার ইত্যাদি প্রমাণসমূহ সাথে নিয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যোগাযোগ করে ভূমি মালিকানা সংক্রান্ত তথ্য অনলাইনে এন্ট্রি দেওয়া শুরু করেছেন।

জানা গেছে, ডাটা এন্ট্রি সম্পন্ন হলে ভূমি মালিকগণ ইউনিয়ন ভূমি অফিসে না গিয়েই ঘরে বসে কিংবা বিদেশে বসেও ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান এবং দাখিলা সংগ্রহ করতে পারবেন। অন্যথায় ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানে জটিলতাসহ ভূমির মালিকানা সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক ( রাজস্ব) সুজাউদ্দৌলা জানান, সরকারের গৃহীত এই ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম ডিজিটালাইজড হলে ভূমি মালিকরা ভোগান্তির হাত থেকে রক্ষা পাবে।

জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, সোনার বাংলা গড়বার কারিগর হচ্ছে এদেশের কৃষকেরা তথা ভূমি মালিকেরা। ভূমি মালিকদের দীর্ঘদিনের এই ভোগান্তি নিরসনে ডিজিটালাইজড ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *