কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

গলদা চিংড়ির পিএল উৎপাদনে সফলতা পেয়েছে কুড়িগ্রাম সরকারি মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার। করোনা মহামারীতে প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও কুড়িগ্রাম মৎস্য খামার সফলভাবে গলদা চিংড়ির পিএল উৎপাদন করে কুড়িগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করে আসছে। খামারে বরাদ্দ ও জনবল বাড়লে পিএল উৎপাদন দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা জেলা মৎস্য বিভাগের।

জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এবং মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার ব্যবস্থাপকের প্রচেষ্টায় চলতি বছর মার্চ মাসে খামারে গলদা চিংড়ির পিএল উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করে। পিএল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩লাখের মধ্যে এ পর্যন্ত ২লাখ ৪০হাজার উৎপাদন হয়েছে ও উৎপাদন অব্যাহত। প্রতিটি পিএলের সরকারী মূল্য ১টাকা ২০পয়সা। গলদা চিংড়ির পিএল উৎপাদনে দু’জন টেকনিশিয়ান কাজ করছে। মৎস্য খামারে ৯টি রাজস্ব পদের বিপরীতে ৩জন কর্মরত আছেন। খামরের শূন্য পদগুলো পুরণ হলে কয়েকগুণ উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। গলদা চিংড়ির পিএল উৎপাদন করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ হচ্ছে। চিংড়ি চাষিদের জন্য ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

কুড়িগ্রাম মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারের ব্যবস্থাপক মো. সামসুজ্জামান বলেন, গলদা চিংড়ির পিএল উৎপাদনে আমরা সফলতা পেয়েছি। খামারে গলদা চিংড়ির পিএল উৎপাদন করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করছি। খামারে বরাদ্দ ও জনবল বাড়লে পিএল উৎপাদন আরো দ্বিগুন বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছি।

কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কালিপদ রায় বলেন, আমরা মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারে চলতি বছরে মার্চ মাসে গলদা পিএল উৎপাদন শুরু করে সফল হয়েছি। করোনা পরিস্থিতিতের মধ্যেও আমাদের খামারে উৎপাদন থেমে নেই। ৭টি উপজেলায় একটি করে নার্সারী পুকুর স্থাপনের মাধ্যমে গলদা চিংড়ির চাষ সম্প্রসারণের কাজ হাতে নিয়েছি। কুড়িগ্রামের বাণিজ্যিক হ্যাচারিগুলো যদি আমাদের এই প্রযুক্তি নিতে চায়, আমরা তাদেরকে দিব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *