রাজিবপুব ( কুড়িগ্রাম ) প্রতিনিধি ঃ
অফিস সহকারীকে দুই হাজার টাকা উৎকোচ না দেওয়ার কারণে এক সরকারি কর্মচারীর পরিবারকে ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকাকে ঈদের বেতন-বোনাস না দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে।
ঈদের আগে বেতন-বোনাসের টাকা না পাওয়ায় চরম সংকটে পড়ে এই পরিবার। অফিস সূত্রে জানা যায় , রাজিবপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঈদুল ফিতরের বেতন-বোনাসসহ বিল দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র রাজিবপুর সদর ইউনিয়নের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা রুমার বেতন-বোনাস দেওয়া হয়নি। আরও জানা যায় , গত বছর ঈদুল আযহার আগে তার বেতন বোনাসের বিল প্রস্তÍত করেনি একই অফিস সহকারী সাদেক আনোয়ার। এই অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে ভুয়াবিল করে টাকা আত্মসাৎসহ অনেক অভিযোগ রয়েছে। তিনি পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দেখিয়ে ভয়ভিতি দেখানোর অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজিবপুর সদর ইউনিয়নের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা রুমা বলেন , ‘ এ করোনাকালীন সময়ে আমার বিরুদ্ধে অমানবিক আচারন করা হয়েছে। পরপর দুইটি ঈদেই বেতন-বোনস ও ঈদ আনন্দ থেকে আমার পরিবারকে বঞ্চিত করেছেন অফিস সহকারী সাদেক। টাকা ছাড়া তিনি আমাদের বেতন বিল বেনাসের কাজও করেন না। আমার এ অভিযোগ আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি।’
অফিস সহকারী সাদেক আনোয়ার বলেন , ‘ ভিজিটরের সন্তানদের জন্ম নিবন্ধন কাগজ আমি পাইনি। তাই বেতন-বোনাস করা হয়নি। টাকা চাওয়ার কথা আমার স্বরণে নেই।’ সাংবাদিক পরিচয়ের কথা স্বীকার করে বলেন , তিনি কাউকে ভয়ভিতি দেখাননি।
রাজিবপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.নাজমুল হাসান বলেন , ‘ রুমার বেতন-বোনাস হয়নি , তা আমি জানতাম না। আমাকে জানানো হয়নি।’
কুড়িগ্রামের পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক ডা. মীর রফিকুল ইসলাম বলেন , ‘ ঈদের আগে বেতন-বোনাস পাইনি এটা দুঃজনক। বরাদ্দের ব্যাপারে আমাকে জানতে হবে। বরাদ্দ ছিল কি না। না অন্য কোন কারণ।’