কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে জমি-জমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে একটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার একদল দাঙ্গাবাজ ব্যক্তি কতৃক বার বার হামলা, বাড়িঘরে আগুন লাগানোসহ হয়রানী শিকার হয়ে কয়েকটি মামলা করে এখন নিরাপত্ত্বাহীনতায় ভূগছেন । এ ঘটনায় আসামিরা সরেজামিনে এসে মামলার বাদীসহ তার পরিবারকে হত্যার হুমকিসহ আবারো বাড়িঘর আগুনে জ্বালাইয়া দেয়ারসহ জোরপূর্বক জমি দখলের হুমকি প্রদান করছে। ফলে মামলার বাদী ও তার পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
জানা গেছে, উপজেলার মুদাফৎথানা এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মিয়ার পরিবারের সাথে একই এলাকার তারা মিয়া গং এর জমি জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিবাদ চলে আসছিল। এই বিবাদের জের ধরে জমি দখলসহ কিছুদিন আগে তারা মিয়া গং এর লোকজন প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে আগুন লাগানাসহ মারপিট করে তাদের হুমকি প্রদান করে। পরে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী রাহেনা খাতুন এবং তার ভাই এহছানুল হক পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করেন তারা মিয়া গংএর বিরুদ্ধে। মামলা দায়েরের পর থেকে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে প্রতিপক্ষ। তারা মিয়া গং আবারো হামলা চালায় মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের উপর এবং তাদের জীবনে মেরে ফেলাসহ বাড়িঘরও দখল করে নেয়ার হুমকি দেয়।
আবারো মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা প্রতিপক্ষ তারা মিয়া গং এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু এরপরও থেমে থাকেনি তারা মিয়া গং। সরেজামিনে এসেই আবারো হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর, মারপিটসহ লুটপাট করে এবং আবারো হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেন রেহেনা খাতুন। কোন বিচার না পেয়ে মুত্তিযোদ্ধার স্ত্রী রেহেনা খাতুন সমাজের সমাজপতিদের কাছেও বিচার দেন কিন্তু বার বার তাদের কাছে ঘুরেও কোন ফল না পেয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন এই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি।
একদিকে মামলা অপরদিকে সমাজপতিদের কাছে বিচার দিয়েও কোন ফল না পেয়ে দিন দিন তারা মিয়া গংএর কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছেন এই পরিবারটি।
মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহানের স্ত্রী রেহেনা বলেন, বাবারে মোর আর কি বলার আছে হামার জমি তারা মিয়ারা টাকা আর লোকজনের জোর দেখিয়ে দখল করে আছে তো আছে এরপরও বাড়িঘরও দখলের চেষ্ঠা চালাচ্ছে। বাধা দিলেই চলে আসে আমাদের উপর নির্যাতন। তিনি ক্ষোভের সহিত আরো বলেন এই সমাজে ভূমিদস্যু, দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে মামলাসহ বিচার চেয়েও যদি বিচার না পাই তাহলে কোন সমাজে জামো বাহে হামার বলে দেও।
অভিযুক্ত তারা মিয়ার মা ও মেয়ে সকল অভিযোগ অশিকার করে বলেন এই জমি আমাদের বরং তারাই ভোগদখল করার চেষ্টা করছে।