কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার চান্দিনা ২ নং বাতাঘাসী ইউনিয়নের সব্দলপুর গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী ডাকাত মনুর অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ। মাদক ব্যবসার পাশাপাশি তার এলাকায় জমি ও পুকুর দখল ও চাঁদাবাজিতে লিপ্ত রয়েছেন বলে জানান এলাকাবাসী। মাদক কারবারি ডাকাত মনু হলেন-উক্ত উপজেলাধীন সব্দলপুর গ্রামের সকলের পরিচিত মুখ (ডাকাত, মনু স্বর্ণকার)। গ্রামবাসীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সব্দলপুর গ্রামের বিভিন্ন স্থানে এবং বাজারের আশ-পাশে প্রতিনিয়ত মাদক ও জুয়ার আসর বসায়। এলাকাবাসী সমন্বিতভাবে বারবার তাদের দমনের জন্য চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদেরকে এলাকাবাসী আরও জানান, মাদক ব্যবসায়ী (ডাকাত মনু) একাধিকবার মাদকসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। কিন্তু খুব তারাতারি ছাড়া পেয়ে আবার সেই মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। মূলত এই মাদক ব্যবসায়ী সব ধরনের মাদক বেচা-কিনা করে থাকে। তার নেতৃত্বে স্থানীয় কতিপয় যুবকরা ইয়াবা, গাঁজা ও মদ বিক্রি ও সেবন করে থাকে। তার নেতৃত্বে চলা ব্যক্তিরা হলেন ১। হুমায়ুন স্বর্ণকার, ২। সাদ্দাম হোসেন, ৩। ইয়াসিন স্বর্ণকার, ৪। সোহাগ স্বর্ণকার, ৫। আরিফ হোসেন সহ আরো অনেকেই। তাদের কারণে এলাকার যুব সমাজ আস্তে আস্তে মাদকসেবী হয়ে পড়ছে। শুধু তাই নয় চুরি, ডাকাতি, হত্যা, লুটতরাজ, চাঁদাবাজি, আত্মসাৎ, জবরদখল, সুদ-ঘুষসহ সব অনৈতিক কাজ করে বেড়ায় বলে জানিয়েছেন মোরশেদ আলম ও ফারুক মেম্বার সহ আরো অনেকেই। তার দলের ছেলেরা চুরি ছিনতাই চাঁদাবাজির আদেশ অমান্য করলে নেমে আসে তাদের ওপর ক্ষারক এমনটিই জানিয়েছেন তাঁর কতিপয় বিল্লাল নামে এক যুবক। তার এই কর্মকাণ্ডে একাধিকবার পুলিশি অভিযান পড়লে গত ২৭ শে রমজান দিবাগত দিন গ্রেফতার কালে এক পর্যায়ে মনু স্বর্ণকার ও তার সহযোগী কর্মী আরিফ হোসেন সহ ডিবি পুলিশ এক সদস্য কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। ডিবি পুলিশ সদস্যর চিৎকারে লোকজন ছুটে এলে মাদক ব্যবসায়ী ও তার সহযোগী দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে স্থানীয়রা পুলিশ সদস্যকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মোরশেদ আলম। এলাকাবাসী আরও বলেন মনু স্বর্ণকার যতদিন জেলহাজতে থাকে ততদিন ওই গ্রামের বসবাসকারীরা শান্তিতে থাকতে পারেন বলে তারা জানান। চান্দিনা থানা অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দিন মহাম্মদ ইলিয়াস জানান, এ ঘটনায় ডাকাত মনু স্বর্ণকারকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ায় তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে এমনটিই জানিয়েছেন তিনি।