চিলমারী (কুড়িগ্রাম) থেকে শ্যামল কুমারঃ
গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে বিপদ সীমার ৩০ সেঃ মিঃ উপর দিয়ে ব্রহ্মপুত্রের পানি প্রবাহিত। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা ও তীরবর্তী কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে যাচ্ছে রোপা আমন। বাড়ছে হতাশা ও হাহাকার।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে । হঠাৎ করেই যেন ঋতু চক্র তার গতিপথ পরিবর্তন করে ফেলেছে । ফলে সময়ের কাজ সময়ে না হয়ে অসময়ে হচ্ছে। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে এবং তা বিপদ সীমা অতিক্রম করে। পানি বাড়ার সঙ্গে তলিয়ে যেতে শুরু করে নদীর তীরবর্তী এলাকা ও নিম্নাঞ্চল। একের পর এক এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলার মাইলডাঙ্গা, পেদিখাওয়ার বিল, মাচাবান্দার বিল, দিগলার চর ব্যাংকমারা, সোনারীপাড়া, টোনগ্রাম, ব্যাপারীপাড়া, কাঁচকোল, জোড়গাছ, শাখাহাতি গ্রামসহ নয়ারহাট, অষ্টামীর চর ইউনিয়নের বেশকিছু এলাকার কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি মানুষজনের মাঝেও দেখা দিয়েছে ভোগান্তি। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে তলিয়ে গেছে আমন ক্ষেতসহ বিভিন্ন সবজি ও ফসলি জমি। হঠাৎ বন্যার থাবা আর বৃষ্টির হানায় কৃষকরাও পড়েছে বিপাকে। পানিবন্দি বেশ কিছু এলাকার রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে মানুষজন। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৮সেঃমিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (সকাল ১০টা রবিবার পর্যন্ত)। উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায় এ বছর উপজেলায় ৭ হাজার ২ শত ৫৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চারা লাগানো হয়েছে। তারমধ্যে ২ হাজার ৭ শত ৪০ হেক্টর জমির রোপা আমন পানিতে তলিয়ে গেছে।