মোঃ আকতারুল ইসলাম আক্তার ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে রিমু আক্তার নামের এক গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছে মৃতর স্বামীর পরিবার।
সোমবার(২৭ সেপ্টেম্বর) এই ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে
ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে। তবে নিহতের বাবা আলম হোসেন একটি হত্যা মামলা দায়ের করতে থানায় গেলে অভিযোগ গ্রহন করেনি থানা পুলিশ।
মৃত রুমি আক্তার শহরের দক্ষিন সালন্দর শান্তি নগরে তার স্বামী তামিম হোসেনের পরিবারে বসবাস করতেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানাযায়, রবিবার(২৬) সেপ্টেম্বর সন্ধায় এক মৃত মেয়েকে নিয়ে কিছু মানুষ হাসপাতালে আসে। তবে কিছু সময় পরেই হাসপাতালের জরুরী ওয়ার্ডে লাশটি ফেলে তারা পালিয়ে যায়। পরে হাসপাতাল কতৃপক্ষ থানায় খবর দেয়।
হাসপাতাল কতৃপক্ষের কাছে জানতে পেরেই অজ্ঞাত পরিচয়ের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি অপারেশন জিয়ারুল জিয়া।
তিনি জানান, লাশটি থানায় আনার পর আমরা গৃহবধূর পরিবার সন্ধান করতে থাকি। পরে মৃতর পিতার পরিবারের সন্ধান পেয়ে তাদের অবগত করা হয়। ঘটনাটিতে মামলা হয়েছে ও তদন্ত চলছে।
তবে কেনো পুলিশ মৃতর পিতার অভিযোগ গ্রহন করেনি এই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি ওসি।
এই বিষয়ে নিহত গৃহবধূ রিমুর বাবা আলম হোসেনের সাথে যোগাযোগ করাহলে তিনি বলেন, অনেক আশা নিয়ে ১০ মাস আগেই মেয়টিকে বিয়ে দিয়েছি। তবে জামাই নেশাকরে আসে মাঝে মাঝেই মেয়েকে নির্যাতন করতো। বেশ কয়বার জামাইকে বুঝিয়েছি। কোনো লাভ হয়নি। কিন্তু এবার তারা মেয়েটাকে মেরেই ফেল্লো। আমি এর বিচার চাই। জানিনা তার কাছে যাবো। পুলিশও আমার অভিযোগ গ্রহণ করেনি।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিহতের স্বামীর তামিম হোসেনের বাসায় গেলে পরিবারের সদস্যদের পাওয়া যায়নি। মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রাকিবুল ইসলাম চয়ন জানান, মেয়েটির মৃত্যু গলায় ফাঁস লেগেই হয়েছে। তবে তার শরিরে বেশ কিছু জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পোষ্টম্যাডামের রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত জানাযাবে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) তানভীরুল ইসলাম জানান, তামিমের বাসায় গিয়ে পরিবারের কোনো সদস্যদের পাওয়া যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।