কলমেঃ রফিকুল হায়দার

ঘুমিয়ে ছিলেম ঘরে,

তারেক মাস্টার দুপুর রাতে, ডেকে উঠালেন মোরে;

বলিনু তাঁহারে কি কারনে ভায়া! ভাঙ্গালে সুখের ঘুম!

রাগিয়া বলেন, ঘুমাইলে হবে, খুনের আসামী গুম;

বুঝিতে নারিয়া ফ্যাল ফ্যাল করি চাহিলাম মুখ পানে,

দু’হাত ধরিয়া বন্ধু আমারে তুলিল হ্যাচকা টানে;

খালি পায়ে জুতা ছেড়ে,

চলিনু পিছনে তেড়ে,

বন্ধু প্রবর মনির ডাক্তার দাঁড়ায়ে পথের ধারে;

পিছনে পিছনে যাই,

বুঝিতে নারিনু ছাই,

মিসেস মাস্টার, মিসেস ডাক্তার দাঁড়ায়ে দরজা’ পরে;

বিনয়ে কহিনু, কোন অপরাধে ধরিয়া আনিলে মোরে;

উঠিল হাসির রোল,

আরো জন কোলাহল,

ধরাম ধরাম মাইরের আওয়াজে চেতনা জাগিল মনে,

কোলাহল-স্থান লক্ষ্য করিয়া চলিলাম তিন জনে;

দেখিতে পেলাম সেথা,

হেট হয়ে গেল মাথা,

জনৈকা যুবতী বধুয়ার গলে আঁচল বাঁধন দিয়া,

ঝাঁটার প্রহারে নাক, কান, মাথা দিয়াছেন ফাটাইয়া;

বাঁদর নাচের মত,

ঘিরে হেরে লোক শত,

সারা আঙ্গিনানায় নাচালো বধুঁরে ঝাঁটার প্রহার দিয়া,

অবাক আমরা তামাসা দেখিনু আঙ্গিনায় দাঁড়াইয়া;

আজো বাজারের মোড়ে,

বক্তৃতা ঝাঁঝাঁল স্বরে,

“ঝাঁটার পিটুনি খেকো বধুঁয়ার”, নৃত্য সেদিন রাতে,

হেরিয়া ফিরিনু গৃহ অভিমুখে হরষ বিরষ চিতে।

কোথা গেল জ্বীন,

স্মরিতে লাজে মরি,

এমন করিয়া কতবার ওরা, ঝাঁটা পেটা করালো মোদের,

বাংলা ছেড়েছে আর নাহি দেখি, পাইনা কখনো ওদের;

হায়রে মানব জাতি!

জ্বীন, পরীরাই দেখায়ে গে’ল উহাদের হিম্মতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন