রাজীবপুর(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি
রাজীবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের শিবেরডাঙ্গী গ্রামে ক্রয় কৃত ১একর ২০ শতক জমিতে দীর্ঘদিন থেকে চাষাবাদ করে আসছেন পাশ্ববর্তী মরিচা কান্দি গ্রামের লাল বাদশা।
লাল বাদশার চাষকৃত সেই জমির ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে মালিকানা দাবি করছে শিবেরডাঙ্গী পূর্ব পাড়া গ্রামের আব্দুল বারী ও তার পরিবারের সদস্যরা।সম্প্রতি সেই জমির ধান জোর করে কেটে নিয়ে উল্টো লাল বাদশা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে আব্দুল বারী।
স্থানীয় অধিবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে,চর সাজাই মৌজার জে এল নং ২৯, খতিয়ান নম্বর ৪৯৬, দাগ নং ৩০৯১। ক্রয়কৃত এই জমিতে প্রায় ৩০ বছর থেকে ফসল চাষাবাদ করে আসছে লাল বাদশা। সম্প্রতি ওই জমির মালিকানা দাবি করে আব্দুল বারী ও তার পুত্র।বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ভাবে শালিসি বৈঠক হলেও কোন সুরাহা হয়নি বাধ্য হয়ে মোসলেম উদ্দিনের ছেলে লাল বাদশা বাদী হয়ে আদালতে অভিযোগ দায়ের করলে আদালত ওই জমির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
গত ১০ নভেম্বর আব্দুল বারী ও তার পুত্র আব্দুল ওয়াহাব সহ ও আরও প্রায় ৩০ জনের মত একত্রিত হয়ে ওই জমির ধান কাটা শুরু করে। খবর পেয়ে লাল বাদশা এবং তার পরিবারের অন্যান্ন সদস্যরা জমিতে গিয়ে ধান কাটতে নিষেধ করতে গেলে তাদের বেদম মারপিট করে আহত অবস্থায় ফেলে রেখে ধান কেটে নিয়ে যায় এবং একটি জমির মরিচ ক্ষেত নষ্ট করে।পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতরা রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয় চিকিৎসার জন্য।গুরুতর আহত লাল বাদশা সহ কয়েকজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে বেফার্ড করা হয়।তারা এখনও সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।
মারপিট করার ঘটনায় লাল বাদশার পিতা মোসলেম উদ্দিন বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে রাজীবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
সরেজমিনে ওই এলাকার স্থানীয় অধিবাসী আমান আলী,রাশেদ চৌধুরী,আবু শামা দেওয়ান এর সাথে কথা বলে জানা যায়, জমিটি লাল বাদশা ক্রয় করা জমি। গত ২৫ থেকে ৩০বছর হলো চাষাবাদ করে আসছে লাল বাদশার পরিবারের সদস্যরা। হঠাৎ করেই স্থানীয় আব্দুল বারী ও তার পরিবারের সদস্যরা সেই জমির মালিকানা দাবি করে।কয়েকদিন আগে জোর করে জমির ধান কেটে নিয়ে গেছে বলেও নিশ্চিত করেছেন তারা।
হাসপাতালো চিকিৎসধীন লাল বাদশার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, তার জমিটি দখল নিতে চায় আব্দুল বারী। সালিসি বৈঠকে মিমাংসার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তারা সিন্ধান্ত মানে না।বিষয়টি নিয়ে আদালত মামলা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
লাল বাদশার পিতা মোসলেম উদ্দিন বলেন,অনেক কষ্ট কইরা জমিটা আমার ছেলে কিনছে।সেই জমি জোর কইরা দখল করবার চায়।সেদিন ধান কাইটা নিয়া গেছে। বাঁধা দিলে আমাগোর মারপিট করে।আমি এর ন্যায্য বিচার চাই।
জমি দখলের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল বারী বলেন,ওই জমি আমাদের আমরা বিক্রি করি নাই। কগজ পত্রে ভুল আছে।তাই আমাদের জমির দখল আমরা নেওয়ার জন্য জমিতে গিয়েছিলাম। লাল বাদশা ও তার পরিবারের সদস্যদের মারপিট করার বিষয়টিও অস্বীকার করেন তিনি।
রাজীবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম বলেন, ওই ঘটনায় দুই পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেছে এবং মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। কয়েকজন আদালত থেকে আগাম জামিনও নিয়েছেন।