ইশরাত জাহান চৌধুরী, মৌলভীবাজার :: মৌলভীবাজারে পল্লী বিদ্যুৎ এর কথিত লোডশেডিং কবলে গ্রাহকরা। কারনে অকারনে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে মৌলভীবাজারে পল্লী বিদ্যুৎ এর জোনাল অফিসের ডিজিএম এস এম নাসির উদ্দিন এক বক্তব্য লোডশেডিং। ৮ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটের দিকে বিদ্যুৎ চলে গেলে ডিজিএম জানান লোডশেডিং চলছে। এসময় উনার ( ০১৭৬৯-৪০০১৯৪) মুঠো ফোনে কত সময় এবং কোন কোন এলাকায় এ লোডশেডিং হবে জানতে চাইলে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম এস এম নাসির উদ্দিন বলেন, ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকলে উনার কিছু করার নেই। তিনি আরো বলেন, বিদ্যুৎ থাকলো কি থাকলো না সেটার দেখার দায়িত্ব উনার নয়। উনি বলেন,সারা দিন কাজ করতে হবে এমন চাকরী তিনি করেন না। এ বিষয়ে মৌলভীবাজারে পল্লী বিদ্যুৎ এর জি এমের সাথে যোগাযোগ করা হলে উনার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান বলেন,সেবামুলক কয়েক বিভাগের মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগ অন্যতম। এ বিভাগের কোন কর্মকর্তা কোন সময়ই দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। লোডশেডিং কিংবা কোন ত্রুটি হলে জনগন(গ্রাহক)কে জানানো জন্য মৌলভীবাজার বিদ্যুৎ বিভাগকে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, কিছু কর্মকর্তার কারনে সরকারের অর্জন জনগনের কাছে সফলতার চেয়ে ব্যর্থ ভাবে তোলে ধরা হচ্ছে। মৌলভীবাজারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চেয়ারম্যান ডাঃ ছাদিক আহমদ কথিত লোডশেডিং নামক শুভংকরের ফাঁকি বাজির বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি। তবে সৈয়দ মোস্তাক আলী বলেন, মৌলভীবাজারে পল্লী বিদ্যুৎ এর জোনাল অফিসের ডিজিএমের কারনে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে সরকারের অর্জন নস্যাৎ হচ্ছে। এদিকে ৯ আগস্ট দুপুরে মৌলভীবাজারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম প্রকৌশলী শিবু লাল বসু জানান ৮ আগস্ট রাত থেকে ৯ আগস্ট প্রায় দুপুর পর্যন্ত ৩৩ কেভি লাইনের সমস্যার জন্য গ্রাহকরা বিদ্যুৎ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত ছিলেন,তবে লাইনের সমস্যায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটকে লোডশেডিং বলা ঠিক না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মৌলভীবাজারে পল্লী বিদ্যুৎ ডিজিএম এস এম নাসির উদ্দিন যোগদানের পর থেকে নানা রকম লাইনের সমস্যাকে লোডশেডিং বলে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট করার কাজে লিপ্ত রয়েছেন। বিদ্যুৎ গ্রাহকরা জানান, কয়েক মাস ধরে মৌলভীবাজারে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। এর সাথে ঝড়-বৃষ্টি এবং একটু বেশি গরম পড়লে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে পল্লী বিদ্যুৎ এর আওতায় গোটা এলাকা। বাড়িঘর, গাছ-বাঁশ বাগানের ওপর এলোমলো ও অপরিকল্পিত বৈদ্যুতিক লাইন স্থাপন করায় ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে।