ভোলাহাট(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
গত ৮ অক্টোবর র্যাবের অভিযানে ঢাকার আশুলিয়ায় এক বিল্ডিংয়ের পাঁচতলা থেকে লফিয়ে পড়ে নিহত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার নামোমুশরীভূজা গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে আব্দুর রহমান ওরফে সারোয়ার জাহান (২৫) ওরফে আবু ইব্রাহীম আল হানিফ। তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আব্দুর রহমানের প্রকৃত নাম সারোয়ার জাহান। সে মুশরীভূজা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৫ম শ্রেণীতে পাশ করার পর স্থানীয় নামোমুশরীভূজা হাফিজিয়া মাদরাসায় ভর্তি হয়ে ২০ পারা কোরআন শরীফের হাফেজ হয়ে চলে যান ১৯৯৮ সালে নাচোল উপজেলার রেলস্টেশন সংলগ্ন ইসলামীয়া কাওমী মাদরাসা। সেখানে ৯ম শ্রেনীতে ভর্তি হয়ে এক বন্ধুর সাথে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল থানায় জঙ্গী সংগঠনের সভায় যোগ দেয়। ঐ সভায় থেকে জঙ্গী সন্দেহে ৪২জনকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। পরে জামিনে ছাড়া পেয়ে মামলায় ২বার হাজিরা দেয় তার ছেলে। পরে দেশের ৬৪ জেলায় একযোগে বোমা বিস্ফোরণের পর থেকে মামলায় হাজিরা বন্ধ করে দেয়। তারপর থেকে বাড়ীর সাথে আর কোন যোগাযোগ করেনি। সে দিনাজপুরে বিয়ে করে। তার ২ ছেলে ১ মেয়ে ও স্ত্রী অন্তসত্বা। বর্তমানে তার স্ত্রী র্যাব হেফাজতে রয়েছেন। এ খবরে সোমবার পুলিশ ও র্যাবের একটি দল তার গ্রামের বাড়ীতে এসে বড় ভাই কামরুল ইসলামকে নিয়ে যান র্যাব। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে বৃহস্পতিবার র্যাব-৪ এর কার্যালয় থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। এলাকার মৃতঃ তৈয়ব আলীর ছেলে আব্দুল হোসেন, আনোয়ার হোসেনের ছেলে আব্দুল হালিম ও মৃতঃ আতারুলের ছেলে নোমান আলী জানান, তাকে ১৯৯৮ সালের বন্যার সময় থেকে এলাকায় দেখতে পাননি বলে জানিয়েছেন। এদিকে লাশ বাড়ীতে নিয়ে আসার জন্য সারোয়ার জাহান অরফে আব্দুর রহমান অরফে আবু ইব্রাহীম আল হানিফ এর বাবা জুম্মার মসজিদে শুক্রবার নামাজ শেষে টাকা আদায় করার খবর পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ভোলাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মহসীন আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি তিনি শুনেছেন বলে জানান।