ভোলাহাট(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাটে ডায়রীয়ার মাত্রা বেড়েই চলেছে। গত দু’দিনে ফের ভোলাহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রীয়ার রুগীর সংখ্যা বেড়ে সীট ছেড়ে মেছেতে রুগীদের জায়গা নিতে হয়েছে। সরজমিন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোহালবাড়ী ইউনিয়নের গোহালবাড়ী গ্রাম ও খালেআলমপুরের বেশীরভাগ ডায়রীয়া রুগী ভর্তি হয়েছে। এ ছাড়াও উপজেলার জামবাড়ীয়া ইউনিয়নের খাসপাড়া, গোহালবাড়ী ইউনিয়নের বজরাটেক, বীরেশ্বরপুর, ইমামনগর, ভোলাহাট ইউনিয়নের তেলীপাড়া, বাহাদুরগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গাতে ডায়রীয়ার প্রকোপ প্রচন্ড ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২০ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে ১৯ জন ডায়রীয়া রুগী। তবে গোহালবাড়ী ও খালেআলমপুর গ্রামে মাত্রাতিরিক্ত ভাবে ডায়রীয়া দেখা দিয়েছে। এ দু’গ্রামে ডায়রীয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হিসেবে সচেতনমহল জানান, গ্রাম দু’টিতে এলাকার মানুষ অসচেতন। তারা পুকুরের পানিতে বিভিন্ন প্রকার নোংরা আবর্জনা ফেলে রাখে। নোংরা আবর্জনা ফেলে রাখা পুকুরের পানিতে এলাকার মানুষ গোসল করা, থালা-বাসন পরিস্কার করাসহ গরুর ভুড়ি ও পোল্ট্রি মাংস ধোয়া এবং বিভিন্ন কাজে ঐ পানি ব্যবহার করে থাকে। তা’ছাড়া কুয়ার পানি পান করার কারণে ডায়রীয়ার প্রকোপ দিন দিন বেড়েই চলেছে। উল্লেখ্য চার বছর পূর্বে এ দু’গ্রামে প্রচন্ড ভাবে ডায়রীয়া বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় ও উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারী কর্তৃপক্ষ গ্রামগুলো পরিদর্শন করে বিভিন্ন ভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি করেন। মাঝে মধ্যে এ গ্রাম দু’টির ডায়রীয়া নিয়ে এলাকায় বেশ আতংক ছড়িয়ে পড়ছে। এ ব্যাপারে ভোলাহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাঃ মেহফুজ জানান, এলাকার মানুষ সচেতন না হলে ডায়রীয়া আরো বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা প্রকাশ করেন। তবে আবহাওয়া পরিবর্তনের হওয়ায় রোটা ভাইরাস আক্রান্তের কারণও ছোট করে দেখা যাবে না বলে জানান। তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে সব ধরণের চিকিৎসা সেবা ও সচেতনতা বৃদ্ধির ব্যাপারে যথাযথ উদ্দ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।